
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে স্থবির হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার জনজীবন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এতে করে শহরের বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে, সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
শহরের প্রধান প্রধান সড়কে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনার শঙ্কাও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ হাসান আলিফ বলেন, “রাস্তাঘাটে পা ফেলার জো নেই। কাদা-পানিতে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।”
অটোভ্যান চালক মো. আবু সাঈদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুই ঘণ্টা ঘুরে মাত্র একজন যাত্রী পেয়েছি। রাস্তায় পানি জমে থাকায় কেউ বের হচ্ছে না। প্রতিদিনের রোজগারে টান পড়ছে।”
একই কথা বললেন শহরের মুদি দোকানদার সাইফুল ইসলামও। তিনি জানান, “বৃষ্টির কারণে লোকজন দোকানে আসছে না। বিক্রি প্রায় শূন্যের কোটায়।”
সাতক্ষীরা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক হুসাইন বিন আফতাব বলেন, “বৃষ্টির কারণে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি একেবারে কমে গেছে। অনেক অভিভাবক কাদা-পানির ঝুঁকিতে সন্তানদের পাঠাচ্ছেন না।”
বৃষ্টির প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। সাতক্ষীরার কৃষক আব্দুল গনি মোড়ল বলেন, “ক্ষেতে ধানের গোড়ায় পানি জমে গেছে। কাজ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। যদি বৃষ্টি না থামে, তাহলে বড় ক্ষতির মুখে পড়ব।”
কলেজছাত্র মনিরুজ্জামান মনির বলেন, “বাসে উঠতে গিয়েই ভিজে যাচ্ছি। জুতা কাদা-পানিতে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ভোগান্তির শেষ নেই।”
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে এ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী দুই-তিন দিন এমন আবহাওয়া থাকতে পারে। পাশাপাশি বজ্রপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মিমিয়া