
ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আবারও প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে, ৯ ও ১০ মে মধ্যরাতে ভারতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে, যেখানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে অপ্রস্তুত অবস্থায় ছিল। তাঁর ভাষ্যমতে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ফজরের নামাজের পর ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, কিন্তু তার আগেই ভারত ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে পাকিস্তানের একাধিক প্রদেশে হামলা চালায়, যার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরও ছিল।
আজারবাইজানে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “৯-১০ মে রাতের ঘটনা। আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের পাল্টা জবাবে একটি পরিমিত প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ফজরের নামাজের পর সকাল ৪টা ৩০ মিনিটে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু ওই সময় আসার আগেই ভারত আবারও ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে আঘাত হানে, যার মধ্যে রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরও রয়েছে।”
ভারতের এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর, যা ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর চালানো হয়।
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্বীকার করেছেন যে অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে ইসলামাবাদের এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ১০ মে ভোররাতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র নূর খান বিমানঘাঁটি এবং আরও কয়েকটি স্থানে আঘাত হানে। তিনি বলেন, “৯-১০ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির নিরাপদ ফোনে আমাকে জানান যে ভারত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র নূর খান ঘাঁটিতে ও অন্যান্য কিছু স্থানে পড়েছে।”
সূত্র: https://www.ndtv.com/world-news/we-were-ready-to-act-after-prayers-but-india-launched-brahmos-pak-prime-minister-shehbaz-sharif-8543073#pfrom=home-ndtv_topscroll
আবির