ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে মিলেছে সম্ভাবনার দুয়ার, যা বললেন আশিক চৌধুরী

প্রকাশিত: ১১:১৩, ৩১ মে ২০২৫

ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধে মিলেছে সম্ভাবনার দুয়ার, যা বললেন আশিক চৌধুরী

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল বাংলাদেশের জন্য একদিকে যেমন তাৎক্ষণিক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, অন্যদিকে এটি একটি ঐতিহাসিক সম্ভাবনারও দুয়ার খুলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের নিজস্ব পোর্ট, বিশেষ করে বিমান ও সমুদ্রবন্দরগুলোকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জনে তৎপর হচ্ছে সরকার।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চেয়ারম্যান  আশিক চৌধুরী জানান, ভারতের দিল্লির মাধ্যমে ইউরোপগামী পণ্য পরিবহন বন্ধ হওয়ায় এখন বাংলাদেশ নিজস্ব কার্গো সেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে বাধ্য হয়েছে। তার মতে, ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ হওয়ায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ডিমান্ড প্রায় ১০০ শতাংশ বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতেই ঢাকা বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালুর কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, থার্ড টার্মিনালের কার্গো ফ্যাসিলিটির সক্ষমতা আগের টার্মিনালের চেয়ে বহু গুণ বেশি। ডিসেম্বরের মধ্যেই আংশিক চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যেই এটি পূর্ণাঙ্গভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “ঢাকা তো অনেক ব্যয়বহুল ও সীমাবদ্ধ একটি এয়ারপোর্ট। একটাই রানওয়ে, সেটিও যাত্রী পরিবহন ও কার্গো উভয়ের জন্য। তাই যদি অন্য বিমানবন্দরগুলোকে, যেমন চট্টগ্রাম, সিলেট ইত্যাদি, ইন্টারন্যাশনাল কার্গো স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করা যায়, তাহলে চাপ অনেকটা কমে যাবে এবং বাংলাদেশ আরও প্রতিযোগিতামূলক হবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি হয় চট্টগ্রাম বিভাগে, অথচ চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এখনও ঢাকার সাথে সমানে প্রতিযোগিতা করতে পারছে না। এটি একটি সুস্পষ্ট সুযোগ।

সার্বিকভাবে তিনি মনে করেন, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ বাংলাদেশের জন্য এক প্রকার 'পজিটিভ ধাক্কা', যা দেশীয় অবকাঠামো ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

আঁখি

×