
ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফের বাংলাদেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। রবিবার (১ জুন) কলকাতায় বিজেপির একটি সাংগঠনিক সভায় তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশিদের অবৈধভাবে অনুপ্রবেশে উৎসাহ দিচ্ছেন এবং সীমান্ত খুলে দিয়েছেন।
অমিত শাহ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশিদের জন্য বাংলার সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। তিনি কখনো অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারবেন না। শুধু বিজেপিই পারে এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তিনি বলেন, তৃণমূল সরকার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে প্রয়োজনীয় জমি দিচ্ছে না, যার ফলে সীমান্তে নজরদারিতে সমস্যা হচ্ছে।
“তৃণমূল চায় অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকুক, কারণ ওরা ভোটের রাজনীতি করে। বিএসএফকে জমি না দেওয়ার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি,”—বলেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘অপারেশন সিঁদুর’ ও ওয়াকফ সংশোধনী আইন এর বিরোধিতা করেছেন মুসলিম ভোটব্যাংক তুষ্ট করতে। তার ভাষায়, “মমতা দিদি দেশের মা-বোনদের অপমান করেছেন অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা করে। ২০২৬ সালের নির্বাচনে বাংলার মানুষ তাকে এর জবাব দেবে।”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, বিজেপি বাংলাদেশ-অনুপ্রবেশ ও ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে মানুষের আবেগে খেলা করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগেও অভিযোগ করেছেন—“অপারেশন সিঁদুরকে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে এবং হিন্দু নারী সেন্টিমেন্ট উসকে দিচ্ছে ভোটের স্বার্থে।”
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলায় রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। সীমান্ত, অনুপ্রবেশ এবং ধর্মীয় পরিচয় ইস্যু যে বিজেপির বড় প্রচার হাতিয়ার হবে, অমিত শাহের এই বক্তব্য থেকে তা স্পষ্ট। এখন দেখার বিষয়, তৃণমূল কংগ্রেস কীভাবে এর মোকাবিলা করে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কী প্রতিক্রিয়া জানান।
নুসরাত