
ছবি: সংগৃহীত
রাতভর বিছানায় এপাশ-ওপাশ করা, শরীর ক্লান্ত হলেও চোখে ঘুম না আসা—এই সমস্যার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। স্ট্রেস, মোবাইল স্ক্রিনের আলো কিংবা দুশ্চিন্তার পাশাপাশি, আপনি রাতে কী খাচ্ছেন সেটিও আপনার ঘুমের মানে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর ঘুমের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য রাতের খাবার বেছে নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার শরীরকে শান্ত করার বদলে উল্টো উত্তেজিত করে তোলে বা হজমে সমস্যা তৈরি করে। চলুন দেখে নিই এমন ৬টি খাবার যা রাতের খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই ভালো।
মসলা ও ঝালযুক্ত খাবার
রাতের শেষ বেলায় আচারের অতিরিক্ত এক চামচ বা ঝাল নাচোস খেলে তা মুখে ভালো লাগলেও পেটের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। ঝাল খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং হজমে সমস্যা তৈরি করে। এর ফলে অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক হতে পারে, যা ঘুমে বাধা দেয়।
ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার
পকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা তেলে ভাজা কোনো খাবার রাতে খেলে হজমে সময় লাগে বেশি। এর ফলে পেটে ভারি ভাব আসে, আর শরীর বিশ্রাম নেওয়ার বদলে হজমে ব্যস্ত থাকে। এতে ঘুমে বিঘ্ন ঘটে।
চকলেট
চকলেটের মধ্যেও ক্যাফেইন ও চিনি থাকে, যেগুলো মস্তিষ্ককে সক্রিয় করে তোলে। তাছাড়া চকলেটের মধ্যে থাকা থিওব্রোমিন নামক উপাদান স্নায়ুকে উত্তেজিত করে ঘুমের রুটিন নষ্ট করে দিতে পারে।
কফি বা চা
অনেকেই রাতে এক কাপ চা বা কফিতে স্বস্তি পান ভাবেন, কিন্তু এতে থাকা ক্যাফেইন শরীরকে দীর্ঘ সময় জাগিয়ে রাখে। এমনকি ডিক্যাফ বা গ্রিন টি-র মধ্যেও সামান্য ক্যাফেইন থাকে, যা ঘুমের স্বাভাবিক চক্রে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত চিনিযুক্ত মিষ্টি খাবার
রাতে মিষ্টি বিস্কুট, কেক বা লাড্ডু খেলে রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের রিল্যাক্সেশনে ব্যাঘাত ঘটে এবং ঘুম আসতে দেরি হয়।
ভারী ডাল বা শিমজাতীয় খাবার
ডাল বা শিমজাতীয় খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও রাতে বেশি পরিমাণে খাওয়া হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। গ্যাস, ফাঁপা ভাব কিংবা অস্বস্তি হতে পারে, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই রাতে হালকা পরিমাণে ডাল খাওয়াই উত্তম।
আপনার রাতের খাবারের পাতে কী থাকবে, তা শুধুমাত্র স্বাদের উপর নির্ভর করে ঠিক করা উচিত নয়। ভালো ঘুম চাইলে দিনের শেষে শরীরকে হালকা, শান্ত ও আরামদায়ক রাখার মতো খাবার বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
মুমু