
ছবি: সংগৃহীত
যকৃত বা লিভার আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করা, পুষ্টি সংরক্ষণ, ও হজমে সাহায্য করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে। তবে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, ধূমপান, ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে যকৃতের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। তাই যকৃতকে সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আনতে হবে কিছু পরিবর্তন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যাভ্যাসে সামান্য সচেতনতা যকৃতের সুস্থতায় বড় অবদান রাখতে পারে। নিচে দেওয়া হলো কিছু কার্যকর উপায়:
১. চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমান
অতিরিক্ত চিনি যকৃতের চর্বি জমার অন্যতম কারণ। ক্যান্ডি, কোমল পানীয়, বেকারি খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কমিয়ে দিন। এতে যকৃত চর্বিযুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
২. তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খান
সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি, করলা এবং রঙিন ফলমূল যকৃতের জন্য উপকারী। এগুলোতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যকৃতকে বিষাক্ত পদার্থ থেকে রক্ষা করে।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
যকৃত ঠিকভাবে কাজ করার জন্য শরীরে পানির ভারসাম্য থাকা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান যকৃত পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৪. লেবু ও হলুদ ব্যবহার করুন
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও হলুদের কারকিউমিন উপাদান যকৃত পরিষ্কার ও সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সকালে গরম পানির সঙ্গে লেবু খাওয়া হতে পারে উপকারী।
৫. কফি উপকারী হতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন সীমিত পরিমাণ কফি গ্রহণ যকৃতের প্রদাহ কমাতে সহায়ক হতে পারে। তবে অতিরিক্ত নয়, দিনে ১-২ কাপ যথেষ্ট।
৬. অ্যালকোহল পরিহার করুন
মদের অতিরিক্ত সেবন যকৃতের সবচেয়ে বড় শত্রু। এটি যকৃত কোষ ধ্বংস করে সিরোসিস বা লিভার ফেইলিওরের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
৭. সুষম খাদ্য নিশ্চিত করুন
প্রতিদিনের খাবারে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি ও ভিটামিনের সঠিক ভারসাম্য থাকা চাই। অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত ও তেলচিটে খাবার এড়িয়ে চলুন।
যকৃত সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসে এই সাধারণ পরিবর্তনগুলো নিয়মিতভাবে মেনে চললে জটিল রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। মনে রাখতে হবে, যকৃত যতটা সুস্থ থাকবে, শরীরও ততটাই কর্মক্ষম থাকবে।
আসিফ