
ছবি: জনকন্ঠ
আশা, স্বপ্ন আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার এক আবেগঘন পরিণতি ঘটল ৪ জুন, ২০২৫ তারিখে। অবশেষে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পেল তার প্রথম উপাচার্য। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. মো. কুদরত-ই-জাহান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগদানপত্র জমা দিয়ে শুরু করলেন এক নতুন অধ্যায়—যা কেবল প্রশাসনিক দায়িত্বের নয়, বরং হাজারো বগুড়াবাসীর মনের গভীরে লালিত এক স্বপ্ন বাস্তবায়নের সূচনা।
একদিন এই শহরের শিক্ষিত যুবসমাজ, মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা চেয়ে থাকত রাজধানী কিংবা অন্যান্য বড় শহরের দিকে—শুধু একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আশায়। অভিভাবকরা চোখে রেখেছিলেন সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন, যেখানে জ্ঞানের আলো ছড়াবে এই মাটিতেই। আজ সেই স্বপ্নের দেয়ালে লেখা পড়ছে নতুন নাম 'বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়'।
নবনিযুক্ত উপাচার্যের সঙ্গে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ হাসানাত আলী এবং বিসিক ও বিআরটিসির পরিচালক মীর শাহে আলম।
৩ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়। তবে এই তারিখ শুধু প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি বগুড়াবাসীর হৃদয়ে খোদাই হয়ে থাকবে গর্ব, আনন্দ আর নতুন সম্ভাবনার প্রতীক হিসেবে।
বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, এটি এ অঞ্চলের মানুষদের আত্মবিশ্বাস, তাঁদের নিজস্ব পরিচয়ের উৎস। এ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবে নতুন প্রজন্মকে, যারা নিজেদের মাটি ও মানুষকে ভালোবেসে এগিয়ে যাবে উন্নয়নের পথে।
ড. কুদরত-ই-জাহানের মতো অভিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান একজন একাডেমিক ব্যক্তিত্বের হাতে এই প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হওয়ায় শিক্ষানুরাগী মহলে আনন্দ ও আশার জোয়ার বইছে। বগুড়ার আকাশে আজ যেন নতুন এক সূর্যোদয় আলোকিত ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে।
এই যাত্রা শুধু একজন উপাচার্যের নয়, এটি গোটা বগুড়াবাসীর। একটি অঞ্চলের আত্মমর্যাদা ফিরে পাওয়ার গল্প এটি, যেখানে স্বপ্ন আর বাস্তবতার মিলনে জন্ম নিচ্ছে একটি নতুন ইতিহাস।
Mily