মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আইসিটি ও প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি তাদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে আগামী ১৮ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হবে ‘জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা (এনএইচএসপিসি) ২০২৫’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক পর্ব।
এই প্রতিযোগিতা একই দিনে দেশের আরও পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৫ সাল থেকে হয়ে আসা এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ সমমানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কম্পিউটার প্রোগ্রামিংকে জনপ্রিয় করা। আঞ্চলিক পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগিরা ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (BdOSN) যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে।
নোবিপ্রবিতে প্রতিযোগিতার সফল বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক এবং সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (CSTE) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তার।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুন্নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. বেল্লাল হোসেন এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি ও সহকারী কমিশনার মোঃ ফাহিম হাসান খান।
এবারের প্রতিযোগিতায় নোবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিতব্য আঞ্চলিক পর্বে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়, ৫০০ জন শিক্ষার্থী কুইজ প্রতিযোগিতায় এবং ৩২টি দল দাবা খেলায় অংশগ্রহণ করবে।
প্রতিযোগিতার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা সিএসটিই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাহিদ আক্তার বলেন, “এই আয়োজন সফল করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য তরুণদের মধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করা। এ বিষয়ে একটি ৪৫ মিনিটের বিশেষ সেশনও থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়, বরং প্রযুক্তি নিয়ে তরুণদের চিন্তা ও মেধা বিকাশে সহায়ক একটি প্ল্যাটফর্ম। আমরা চেষ্টা করবো অংশগ্রহণকারীদের জন্য এমন একটি উৎসাহব্যঞ্জক পরিবেশ তৈরি করতে, যাতে তারা জাতীয় পর্বে আরও ভালো করতে পারে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক বলেন, “এ ধরনের আয়োজন তরুণদের প্রযুক্তিনির্ভর চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা প্রোগ্রামিং ও প্রযুক্তির ভাষা রপ্ত করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলুক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগে সর্বদা সহায়তা করতে প্রস্তুত।”
রাজু
