ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেটের দুই কিংবদন্তি মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবার সামনে এলো বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলির মুখে। সম্প্রতি বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, এই দুই সাবেক অধিনায়ক আন্তর্জাতিক কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
মুশফিকুর রহিম বর্তমানে শুধু টেস্ট ক্রিকেটে সক্রিয় থাকলেও মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে বিদায় নিয়েছেন। তবে তাদের দুজনেরই ইচ্ছা ক্রিকেটার জীবন শেষে কোচিংয়ে যুক্ত হওয়ার। বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, "আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা এই ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। আমরা ক্রিকেটারদের জন্য কোচিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে কাজ করছি।"
পঞ্চপাণ্ডব নামে খ্যাত বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বর্ণযুগের এই পাঁচ তারকা - সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মধ্যে প্রথম দুজন এখন রাজনীতিতে সক্রিয়। মাশরাফিও রাজনীতিতে ছিলেন, যদিও বর্তমানে তেমন সক্রিয় নন। তামিম ইকবাল ব্যবসা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছেন।
মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ সবসময়ই ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান বলে জানিয়েছিলেন। এবার সেই ইচ্ছার রূপ পরিষ্কার হলো। মুশফিকুর রহিমের উইকেটকিপিং দক্ষতা এবং মাহমুদউল্লাহর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি কোচিং স্টাফের জন্য মূল্যবান সম্পদ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসগুলোতে সাবেক ক্রিকেটারদের জন্য কোচিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে বোর্ড। মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে সেই প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। ক্রিকেট অ্যানালিস্ট মোহাম্মদ মিঠুন বলেন, "এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা যদি কোচ হন, তা আমাদের ক্রিকেটের জন্য বিরাট পাওয়া। তাদের টেকনিক্যাল জ্ঞান ও ম্যাচের অবস্থা বোঝার দক্ষতা নতুন প্রজন্মকে অনেক কিছু শেখাতে পারবে।"
খেলোয়াড়ি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যখন অনেক তারকাই ব্যবসা বা রাজনীতির দিকে ঝুঁকছেন, তখন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য সুখবর বটে। এখন দেখার বিষয়, বিসিবি কীভাবে তাদের এই স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করে এবং কত দ্রুত বাংলাদেশি কোচ হিসেবে তাদের দেখতে পাব আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে।
সাব্বির
