
স্টাম্প উপড়ে গেছে লিটন দাসের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে এভাবেই বারবার ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মাটিতে তিন ম্যাচ টি২০ সিরিজের একটিতেও ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারল না টাইগাররা। টানা তিন হারে লজ্জার হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। তবে এমন হারের জন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। বললেন, ‘আশা করি সামনে পারব।’
বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ হারিস দানবীয় ব্যাটিংয়ে তুলে নেন সেঞ্চুরি। ফলে সহজ পায় স্বাগতিকরা। আর এই দুই সিরিজে টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেটে ম্যাচ হারের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ১৮৮ টি২০ ম্যাচ খেলে ৭২টি জয়ের বিপরীতে হেরেছে ১১২ ম্যাচ, ফলাফল আসেনি ৪টি। এই তালিকায় ১০৯টি ম্যাচ হারা দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।
টাইগারদের দেওয়া বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শোয়াবজাদা ফারহান ১ রানে ফিরলে মোহাম্মদ হারিসকে নিয়ে এগোতে থাকেন সাইম আয়ুব। দুই জন মিলে টাইগার বোলারদের তুলোধুনা করেন। সাইম ৪৫ রানে ফিরে গেলেও, ব্যাট হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন হারিস। এরপর হাসান নাওয়াজ ১৩ বলে ২৬ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। শেষ পর্যন্ত হারিসের অপরাজিত ১০৭ রানে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
এর আগে লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। যা ছোট ফরম্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ ইমন দুর্দান্ত শুরু করেন। তামিম কিছুটা শান্ত মেজাজে ব্যাটিং করলেও ইমন রীতিমতো ঝড় তোলেন। ২৭ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি। এ সময় ৩২ বলে ৪২ রান করে তামিম আউট হলে দলীয় ১১০ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। নিজেদের টি২০ ইতিহাসে এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো উদ্বোধনী জুটিতে শতরান পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপরই ৩৪ বলে ৬৬ রান করা ইমন সাজঘরে ফেরেন। তিনে নেমে লিটন দাস করেছেন ১৮ বলে ২২ রান। আর তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৫ রান। শেষদিকে ৯ বলে অপরাজিত ১৫ রান করেন জাকের আলি অনিক।
ম্যাচ শেষে হতাশার সঙ্গে অধিনায়ক লিটন দাস বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা বল ভালো করিনি। আগের দুই ম্যাচে ফিল্ডিং এবং ব্যাটিং ভালো করিনি। আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়েছে। অবশ্যই আমাদেরকে শিখতে হবেÑ কোন ব্যাটারের বিপক্ষে কীভাবে বল করতে হবে। এসব জায়গায় উন্নতি করতে হবে। ইমন এবং তামিম ভালো শুরু দিয়েছে। শুধু তারাই নয়। বেশিরভাগই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে এবং তাদের নিজেদের কাজটা করে দিয়েছে।