
ভুটানের বিরুদ্ধে গোলের উচ্ছ্বাস বাংলাদেশের ফুটবলারদের
বাংলাদেশের ফুটবলে এখন নবজোয়ার। এই জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে হামজা চৌধুরী-সামিত সোমদের মতো বিশ্বমানের তারকারা দলভুক্ত হওয়ায়। এদের নিয়েই ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। নিজেদের ঘরের মাঠ ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি খেলবেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ম্যাচটিতে জয় পেতে মুখিয়ে আছেন হামজা-জামাল-সামিতরা। বাংলাদেশ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে ড্র করেছে। এখন ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবিলে ভালো একটা অবস্থানে থাকতে পারবেন হামজা-তপুরা।
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সবশেষ যুক্ত হয়েছেন কানাডা প্রবাসী মিডফিল্ডার সামিত সোম। বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেই খেলার ইচ্ছার কথা জানান এই তরুণ। নিজের দেশে আসতে পেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। হামজা চৌধুরী, ফাহমিদুল ইসলাম থেকে শুরু করে একে একে সবাই এরই মধ্যে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে। বাকি ছিলেন কেবল সামিত। কানাডা প্রবাসী এই মিডফিল্ডার নির্ধারিত সময়ে ঢাকা এসেছেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান টিম হোটেলে।
সামিত প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ জ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা বলেন, যখন আমরা সামিতের কথা ভাবছিলাম, তখনই তাকে দলে তার ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়েছি। এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে আমাদের মধ্যে। সে সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পুরোপুরি তৈরি। তবে লম্বা ভ্রমণ করে সে এসেছে। তাকে নিয়ে আমাদের আরও একটু বেশি সতর্ক হতে হবে। সে যেন দলে এসে সাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করে, এজন্য তাকে সাহায্য করতে হবে আমাদের।
সামিত অবশ্য ঢাকায় পা রেখেই বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকার কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি খুব রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমরা কিভাবে খেলতে চাই, এটা নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি দলের সবার সঙ্গে দেখা করতে, টিমের সঙ্গে থাকতে মুখিয়ে আছি। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে দলের খেলোয়াড়দের ভুটানের বিপক্ষে ‘গেম টাইম’ দেওয়ার ভাবনাও আছে ক্যাবরেরার। কোচের ভাবনা বাস্তবায়িত হলে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষা হয়ত দীর্ঘ হবে না সামিতের।
ভুটান ম্যাচে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও খেলতে দেখা যাবে তাকে। সামিতের বেড়ে ওঠা কানাডায়। ২০২০ সালে কানাডা জাতীয় দলের হয়ে তিনি দুটি ম্যাচও খেলেছেন। ক্লাব ফুটবলে বর্তমানে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ক্যাভালরি এফসিতে খেলছেন তিনি। এই মিডফিল্ডারকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের মাঝমাঠের শক্তি বেশ খানিকটা বেড়েছে। ২০১৩ সালে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে প্রবাসী খেলার পথ উন্মুক্ত হয়েছিল। এক যুগের ব্যবধানে এখন বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক তালিকায় ৬ প্রবাসী ফুটবলার। এই যে পরিবর্তন- সেটা কে, কিভাবে দেখছেন? এ প্রসঙ্গে জামান বলেন, আমার খুবই ভালো লাগছে। কারণ আমার পর যখন তারিক (ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী) যোগ দিয়েছিলেন তখন আমি চিন্তা করেছিলাম আর কোনো প্রবাসী হয়ত যোগ দেবেন না।