
ছবি: জনকণ্ঠ
অনেকের কাছেই এক অনুপ্রেরণার নামকাওসার আলী।সাবেক এই ফুটবল এবং হকি খেলোয়াড় একটা সময় একাধারে খেলেছেন জাতীয় হকি এবং ফুটবল দলে।শুধু কি খেলোয়াড় হিসেবেই পরিচিত তিনি ? না,একাধিকবার জাতীয় হকি দলের ও কোচ ছিলেন তিনি। ছিলেন, বিকেএসপি হকির প্রধান কোচ।একজন খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে হকি তে তার অবদান অনস্বীকার্য।
২০২৪ সালে হকিতে ইতিহাস গড়ার বছর বাংলাদেশের। এই প্রথমবারের মত যেকোন ফরম্যাটে বাংলাদেশ হকি টিম বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এ ইতিহাস গড়ার একজন গর্বিত অংশীদার ছিলেন জনাব মো: কাওসার আলী। বাংলাদেশ হকি টিমের ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্বে থেকে হকিতে এ কৃতিত্ব অর্জনে ভূমিকা রেখেছেন তিনি ।বিকেএসপি হকির প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অবসরের পর এখন নিজ জেলা যশোরে তৃণমূল পর্যায় থেকে হকি এবং ফুটবল খেলোয়াড় তৈরি তে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের অ্যাডহক-কমিটির একজন সদস্য।
বলছিলাম,জাতীয় ফুটবল ও জাতীয় যুব ফুটবল দল, সেই সাথে জাতীয় হকি দলের এবং ঢাকা মোহামেডান, ওয়ারী ও ‘৭৯ এর লীগ চ্যাম্পিয়ন, বিজেএমসির হয়ে ঢাকা ফুটবল লীগ খেলা তারকা ক্রীড়াবিদ যশোরের ক্রীড়াঙ্গনের গর্ব জনাব মো: কাওসার আলীর কথা।
১৯৭৬ সালে যশোর যে বার জাতীয় ফুটবল আসরে প্রথমবারের মত জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো সেবার মাঝ মাঠের কুশলী কারিগর কাওসার আলী ছিলেন দলের অন্যতম প্রান শক্তি।এতসব অতুলোনীয় কীর্তি যার তার নাম কিনা আজ অবধি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের প্রাথমিক তালিকাতে ও ওঠেনি ! এটা সত্যি দুঃখজনক। অথচ জাতীয় দলে দুচারটে ম্যাচ খেলেই কেউ কেউ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার লাভ করে নিয়েছেন।
তবে প্রশ্ন উঠতেই পারে, দেশের ক্রীড়া অঙ্গনের জন্য আর কতটা অর্জন বয়ে নিয়ে আসলে জনাব কাওসার আলী কে দেওয়া হবে তার যথাযথ সম্মান ? নিজেকে আর কতটা প্রমাণ করলে তিনি পাবেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ?
আঁখি