
ফিল সিমন্স। ছবি : সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক সিরিজে পাকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলেও ব্যর্থতার গুঁড়িতে আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স। শেষ ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, "ব্যর্থতা স্বীকার করছি, তবে ইতিবাচক দিকও কম নয়। সবচেয়ে বড় পাওয়া আমাদের ওপেনিং জুটি। তানজিদ হাসান ও ইমরুল কায়েস দেখিয়ে দিয়েছেন, তারা একসঙ্গে কতটা বিপজ্জনক হতে পারেন।"
সিমন্সের মতে, এই সিরিজের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপের জন্য দলকে প্রস্তুত করবে। তিনি বলেন, "পাকিস্তানের পেস-ফ্রেন্ডলি উইকেটে খেলাটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। বাংলাদেশে সাধারণত এমন উইকেট পাওয়া যায় না। এই কন্ডিশনে আমাদের পেসারদের আরও কার্যকর হতে হবে।"
মিডল অর্ডারের দুর্বল পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কোচ বলেন, "লিটন, শামীম, হৃদয় আগের সিরিজগুলোতে ভালো করেছে। মাত্র এক সিরিজ খারাপ খেললেই তাদের বিচার করা যাবে না। সাইমও কিছুদিন আগে ফর্মে ফিরেছে। শান্তকে আমরা বিকল্প হিসেবে রেখেছি।"
পাকিস্তানের হারিস রউফ ও মোহাম্মদ সাইমের বোলিং বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা যে সংগ্রাম করেছে, তা স্বীকার করেন সিমন্স। তবে তিনি মনে করেন, "এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মুখোমুখি হওয়াটা আসলে ভালো। বিশ্বকাপের আগে আমাদের দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পারাটাই বড় অর্জন।"
বাংলাদেশ দল এখন আমেরিকায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নেবে। সিমন্স আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "এক সিরিজের ফলাফলে হতাশ হলে চলবে না। আমরা যা শিখলাম, তা কাজে লাগাতে হবে। বিশ্বকাপে ভালো করার জন্যই এই প্রস্তুতি।"
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস বলে, এমন সংকটকালেই দল বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কোচের এই আশাবাদ কি টাইগারদের নতুন করে জাগিয়ে তুলবে? উত্তর মিলবে আগামী বিশ্বকাপে।
সাব্বির