ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) আজ (বুধবার) এক দিনের জন্য গাজায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করেছে। মঙ্গলবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী একাধিক ফিলিস্তিনি ত্রাণপ্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে অন্তত ২৭ জন নিহত ও ১০০ জনের বেশি আহত হয়। এর পরেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, জিএইচএফ-এর ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশের রাস্তাগুলোকে বুধবার (৪ জুন) ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব এলাকায় না যাওয়ার জন্য গাজার জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে।
জিএইচএফ-এর পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে জানানো হয়, "পুনর্গঠন, সংগঠন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য" এই সাময়িক বিরতি প্রয়োজন। তারা আরও বলে, “চলমান পরিস্থিতিতে অনুগ্রহ করে ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র এলাকায় প্রবেশ করবেন না। বৃহস্পতিবার থেকে কার্যক্রম আবার শুরু হবে।”
গত ২৭ মে থেকে জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ত্রাণপ্রার্থী শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই মানবিক বিপর্যয় নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, “খাদ্য পাওয়ার জন্য ফিলিস্তিনিদের জীবন ঝুঁকিতে পড়া একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।” তিনি ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দোষীদের জবাবদিহি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার জিএইচএফ-এর নতুন নির্বাহী চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের ধর্মীয় উপদেষ্টা ছিলেন।
জিএইচএফ-এর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভাব এবং ইসরায়েলি সামরিক কৌশলের অংশ হওয়ার অভিযোগে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো তাদের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, জিএইচএফ মূলত দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে ইসরায়েলের লক্ষ্য—উত্তর গাজা থেকে জনসংখ্যা সরিয়ে নেয়া—বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে।
জিএইচএফ-এর প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ও মার্কিন মেরিন জ্যাক উড গাজা কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন এবং প্রতিষ্ঠানটির "নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতা" নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সূত্র: আল জাজিরা
নোভা
