
ছবি: সংগৃহীত
জায়গার বিরোধ নিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় খুন হওয়া নুরুল হকের ১৪ খুনির বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি মামলা রের্কড করা হয়েছে।
গ্রেফতার করা হয়েছে- পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের মৃত সিরাজুল হকের পুত্র মো: সেলিমুল হক সেলিম (৪০) কে। রবিবার সকালে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনায় আসামি করা হয়েছে- পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফজলুল হকের পুত্র কাউসারুল হক বাপ্পা (২৮), মৃত সিরাজুল হকের পুত্র মো: শহীদুল হক (৪৩), মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র মো: ফজলুল হক (৫০), ছৈয়দুল হকের পুত্র মো: জসিম (৩৭), আজিজুল হক প্রকাশ মনজুরের পুত্র ইমরান কাইসার (২৮), ছৈয়দুল হকের পুত্র মো: রহিম (২৮), মো: ফজলুল হকের পুত্র মো: রিজভী (২৩), ফজলুল হকের স্ত্রী নুর নাহার বেগম (৪৮), সিরাজুল হকের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৫২), রোজি আকতার (২৫), জয়নাব বেগম (২৩), জসিম উদ্দিনের স্ত্রী বিলকিস আকতার (২৭), এজাহার মিয়ার পুত্র আজিজুল হক প্রকাশ মনজু (৫২)। নিহত নুরুল হকের পুত্র জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় এ মামলা করেন।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে জায়গার নুরুল হকের সঙ্গে প্রতিপক্ষ সেলিমুল হকের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসচ্ছিল। গত ৩০ মে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হামলার এক পর্যায়ে নুরুল হককে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে স্থানীয় লোকজন পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন।
নিহতের পুত্র কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ভুমিদ্যুস ও জুলুমবাজ। তাদের অত্যাচারে স্থানীয়রা অতীষ্ঠ। এ জায়গা নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সুরহা হয়নি। প্রতিপক্ষের লোকজন লোহার রড ও ইট দিয়ে নুরুল হকের মাথায় আঘাত করে।
নিহত নুরুল হকের পুত্র কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, জায়গার বিরোধ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে বৈঠক হলেও প্রতিপক্ষ গায়ের জোর খাটায়। তার পিতা নুরুল হককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ।
আসিফ