মেটা’র এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করছে এক বিলিয়ন মানুষ, জানালেন মার্ক জাকারবার্গ

বিশ্বজুড়ে এক বিলিয়ন মানুষ এখন ব্যবহার করছেন মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড (NASDAQ: META)-এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) অ্যাসিস্ট্যান্ট—এমনটাই জানিয়েছেন কোম্পানির সিইও মার্ক জাকারবার্গ।

বুধবার মেটার বার্ষিক শেয়ারহোল্ডার সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি। জাকারবার্গ বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যক্তিকেন্দ্রিক, ভয়েস-নির্ভর ও বিনোদনমুখী একটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট তৈরি করা, যা বিশ্বসেরা হবে।”

প্রতিযোগিতায় মেটার নতুন চ্যালেঞ্জ

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মেটা একটি স্ট্যান্ড-অ্যালোন AI অ্যাপ চালু করে, যা সরাসরি প্রতিযোগিতা করছে ওপেনএআই-এর ChatGPT, গুগলের Gemini, ও ইলন মাস্কের Grok এর সঙ্গে।

মার্ক জাকারবার্গ বলেন, “আমরা এখনই সরাসরি ব্যবসা নয়, বরং এই প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে বিশাল জনসংখ্যায় ছড়িয়ে দিতে চাই। তবে ভবিষ্যতে হয়তো পেইড সাবস্ক্রিপশন বা সুপারিশভিত্তিক আয় তৈরির চিন্তাভাবনা থাকবে।”

AI ডিভিশনে বড় ধরনের রদবদল

মেটা সম্প্রতি তাদের AI ডিভিশনকে দুটি ভাগে ভাগ করেছে:

🔹 AI প্রোডাক্টস টিম (নেতৃত্বে: কনর হেইস):
এই টিম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট, AI Studio ইত্যাদি ফিচার উন্নয়নে কাজ করছে।

🔹 AGI ফাউন্ডেশনস ইউনিট (সহ-প্রধান: আহমাদ আল-দাহলে ও আমির ফ্রেঙ্কেল):
এই ইউনিট মেটার নিজস্ব Llama মডেল, উন্নত রিজনিং, মাল্টিমিডিয়া ও ভয়েস ফিচার তৈরিতে কাজ করছে।

বিশাল আয় সম্ভাবনার পূর্বাভাস

মেটা পূর্বাভাস দিয়েছে যে, তাদের জেনারেটিভ AI প্রযুক্তি ২০৩৫ সালের মধ্যে ৪৬০ বিলিয়ন থেকে ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার পর্যন্ত রাজস্ব তৈরি করতে পারে।

শেয়ার বাজারে মেটার সম্ভাবনা

বর্তমানে NASDAQ-এ তালিকাভুক্ত মেটা প্ল্যাটফর্মসের শেয়ারের গড় ১ বছরের মূল্য লক্ষ্যমাত্রা হলো ৬৮৬.২৭ ডলার, যা বর্তমান বাজারদরের চেয়ে ৬.৫৫% বেশি।

বিশ্লেষকদের মতামত:

• বুলিশ (ইতিবাচক): ৪৩ জন

• বিয়ারিশ (নেতিবাচক): ০ জন

• সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা: $৯১৮ (রোজেনব্ল্যাট)

• সর্বনিম্ন লক্ষ্যমাত্রা: $৫২৫ (স্কোশিয়াব্যাঙ্ক)

বিশ্বের বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি মেটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে কাজ করছে। জাকারবার্গের নেতৃত্বে মেটার এআই পণ্য ভবিষ্যতে প্রযুক্তি জগতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।