
ছবি: প্রতীকী
দেওয়ানি আদালতের মামলাজট নিরসনে ও বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল করতে দেওয়ানি কার্যবিধিতে একাধিক যুগান্তকারী সংশোধন আনা হচ্ছে। আইনজীবী রেজাউল ইসলাম খান এক ভিডিও আলোচনায় এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘসূত্রিতা এবং সময়ক্ষেপণের কারণে বহু দেওয়ানি মামলা বছরের পর বছর চলতে থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন বাদী পক্ষ। নতুন সংশোধনগুলো প্রযুক্তিনির্ভর হবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।’
নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, মামলার নোটিশ ডাকযোগের পাশাপাশি ইমেইল ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেও পাঠানো যাবে। এতে বিবাদীর কাছে দ্রুত নোটিশ পৌঁছাবে এবং মামলার অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
বিচার প্রক্রিয়ায় বিলম্ব রোধে বাদী ও বিবাদী উভয়ই সর্বোচ্চ দুইবার করে সময় প্রার্থনার (টাইম পিটিশন) সুযোগ পাবেন। তবে সময়ের মেয়াদ বিচারকের বিবেচনায় নির্ধারিত হবে — কোনোভাবেই ছয় মাস বা এক বছরের মতো দীর্ঘ সময় আর নেওয়া যাবে না।
বিবাদীর জবাব দাখিলের সুযোগও সীমিত করা হচ্ছে। এখন একবার দাখিল করা জবাবই বিবেচনায় নেওয়া হবে, বারবার শুনানি পেছানোর সুযোগ থাকবে না।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনটি হচ্ছে, মামলার রায়ে জেতার পর আর আলাদা করে ‘জারি মামলা’ করতে হবে না। রায়ের অনুলিপির ভিত্তিতে সরাসরি সরকারি বাহিনী — যেমন পুলিশ বা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট — সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি দখলে দিয়ে দেবে।
এই সকল পরিবর্তনের ফলে আগে যে মামলা নিষ্পত্তিতে দুই-তিন বছর সময় লাগত, তা এখন এক বছর বা তারও কম সময়ের মধ্যে নিষ্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ‘যদি এই সংশোধনগুলো প্রজ্ঞাপন আকারে কার্যকর হয়, তবে ভূমি সংক্রান্ত মামলায় সাধারণ মানুষ প্রকৃত অর্থেই উপকৃত হবেন।’
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=2o3L280_cb8
রাকিব