
গাজা সিটিতে সাহায্য পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন ফিলিস্তিনিরা
গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর এলাকাকে যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে বিবেচনা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার এই ঘোষণা দেয় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। দীর্ঘ ২০ মাসের অব্যাহত ইসরাইলি আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার গর্ভবতী নারী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। গাজার কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল বালাহর আল আকসা শহীদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খাদ্য ও জরুরি ওষুধের তীব্র ঘাটতির কারণে ৫০,০০০ নারী বর্তমানে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরাইলি হামলায় আরও ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ইসরাইলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪,৬০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার। গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) একটি বিতর্কিত মার্কিন ও ইসরাইল সমর্থিত সাহায্য সংগঠন যা গত সপ্তাহে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে তারা সংগঠন এবং এর দক্ষতা বাড়ানো সংক্রান্ত কাজের জন্য তাদের সাইটগুলো আপাতত বন্ধ করে দিচ্ছে। তবে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সংগঠনটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে একটি পৃথক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করা বা কেন্দ্রগুলোর দিকে যাওয়ার রাস্তা জনগণের জন্য নিষিদ্ধ থাকবে। মঙ্গলবার একটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরাইলি গুলিতে কমপক্ষে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আইডিএফ দাবি করেছে, তাদের সৈন্যরা নির্ধারিত প্রবেশ পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে তাদের দিকে এগিয়ে আসা সন্দেহভাজনদের ঝুঁকি মনে করে এবং তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে মঙ্গলবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের পরিচালক আতেফ আল হাউট বলেছেন, পশ্চিম রাফাহতে সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত বেসামরিক নাগরিকদের ভিড়ের ওপর ইসরাইলি বাহিনী গুলি চালানোর পর আহতরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন। হামাস পরিচালিত সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ট্যাঙ্ক, কোয়াডকপ্টার ড্রোন এবং হেলিকপ্টার দিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।