
ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে প্রথম আলোর একটি ফটোকাট, যেখানে জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন-কে উন্মুক্ত প্রশ্ন করার আহ্বান জানানো হয়। লেখা ছিল – "আপনারা প্রশ্ন করুন, অভিনেত্রী নিজেই উত্তর দিবেন।"
অনেকেই যেমন জানতে চেয়েছেন তাঁর নতুন কাজ, ব্যক্তিজীবন কিংবা সিনেমা–সিরিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে, ঠিক তখনই এক ব্যক্তি ভিন্ন সুরে ছুঁড়ে দিয়েছেন ব্যতিক্রমী ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন।
সোহাইল রহমান নামে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন:
“প্রিয় তারকা তাসনিয়া ফারিনের জন্য দুটি প্রশ্ন দিলাম, আশা করি সে উত্তর দিবে—
১. হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির মৌলিক দার্শনিক প্রভাব কী?
২. ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির মধ্যে পার্থক্য কী এবং কোনটি মহাবিশ্বে বেশি প্রভাব ফেলে?”
এই কমেন্ট রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের কেউ বলছেন “শক্ত লেভেলের ভক্ত”, কেউ বলছেন “এক্সট্রা অরবিটের প্রশ্ন”, কেউ আবার মন্তব্য করেছেন, “এখন ফারিনকেই লাগবে কোয়ান্টাম থিওরির সমাধান!”
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, যা বলে কোনো কণার অবস্থান ও গতি নির্ভুলভাবে একসঙ্গে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। এর দার্শনিক প্রভাব হচ্ছে, প্রকৃতি আসলে একধরনের অনিশ্চয়তায় আবদ্ধ—সব কিছু আগে থেকে নির্ধারিত নয়।
অন্যদিকে, ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জি—দুই অদৃশ্য শক্তি—যা মহাবিশ্বের ৯৫ শতাংশেরও বেশি গঠন করে। ডার্ক ম্যাটার মহাকর্ষের মাধ্যমে গ্যালাক্সি গঠনে ভূমিকা রাখে, আর ডার্ক এনার্জি মহাবিশ্বের প্রসারণ ত্বরান্বিত করে। প্রভাবের দিক থেকে ডার্ক এনার্জি বর্তমানে বেশি সক্রিয়, তবে উভয়েরই প্রভাব বিশাল।
তাসনিয়া ফারিন যদিও এখনও এই প্রশ্নের উত্তর দেননি, তবে দর্শকদের কৌতূহল ও রসবোধ মিলিয়ে এই ঘটনা হয়ে উঠেছে এক টুকরো আনন্দঘন মুহূর্ত। অনেকেই মন্তব্য করছেন, “এই প্রশ্নের উত্তর ফারিন না দিলে, হয়তো নোবেল বিজয়ীরা ট্রাই করবে!”
ফারুক