ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কোরবানিতে কদর বেড়েছে তেঁতুল গাছের খাটিয়ার! 

ইউনুস মিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ৪ জুন ২০২৫

কোরবানিতে কদর বেড়েছে তেঁতুল গাছের খাটিয়ার! 

৪ জুন-কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর মাংস কাটার জন্য এবার কদর বাড়ছে তেঁতুল গাছের খাটিয়ার। কোরবানির পশুর মাংস ও হাঁড় কাটার জন্য প্রয়োজন হয় এই কাঠের। যাকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয়ে থাকে গুরি বা খাটিয়া। সাধারণত মাংস কাটাঁর জন্যই খাটিয়ার প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিবছরই এই খাটিয়া ব্যবহার করে থাকেন কসাইরা। এর মধ্যে অনেকেই কিনে ফেলেছেন পশু ও পশু কাটার  সরঞ্জাম আবার কেউ রয়েছে কেনার অপেক্ষায়।
 
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে খাটিয়া ব্যবসায়ীদের ব্যস্ততা বেড়ে উঠেছে। একটির উপর আরেকটি সাজিয়ে রেখেছেন মাঝারি ও ছোট আকৃতির খাটিয়া। সাইজ অনুসারে এক একটির দাম একেক রকম ভাবে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বছরে একবার ক্রয় করতে হয়, যার কারণে ক্রেতাদের বেশি দরদাম করতে দেখা যায়না। আর এই খাটিয়াগুলো ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই সংগ্রহ করে আনছেন পাহাড়ি অঞ্চল থেকে।
 
কাঠ ব্যবসায়ী জামাল মাহমুদ জানান, প্রতিবছর কোরবানির ঈদ আসলেই ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের গুড়ি বানানোর কাজে চাপ বাড়ে। তারপর সেগুলো নির্দিষ্ট আকারে বানিয়ে বাজারে ক্রয় করে দেন। আকার ভেদে ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০, ৬০০ ও ১০০০ টাকার মধ্যে খাটিয়ার পিস বিক্রি হচ্ছে।
 
বাজারে খাটিয়া ব্যবসায়ী  দুলাল জানান, কোরবানি ঈদের দুই-একদিন আগে থেকে বেচাকেনা শুরু হবে চাহিদা বাড়বে তখন এগুলো কেনার জন্য ক্রেতারাও ভিড় জমাবেন। আর কাঠের মধ্যে তেঁতুলের খাটিয়ার মান সবচেয়ে ভালো। এই গাছের কাঠ খুব শক্ত হয়। তাই এই কাঠের খাটিয়া গুলো বাজারে বেশি আনা হচ্ছে ও ক্রেতারাও তেঁতুল কাঠের খাটিয়াগুলো বেশি খুঁজেন কোরবানির জন্য। খাটিয়া কেনাটাও ঈদের একটি আনন্দ। এখন কেউ কিনছেন আগে ভাগে আবার কেউ দেখে দাম করে চলে যাচ্ছেন।
 
কোরবানি যতই ঘনিয়ে আসবে ব্যবসায়ীরা সেগুলো আরো চরাদামে বিক্রি করে যাবেন এবং কাঠেরও দাম আগের তুলনায় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। নজরুল নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, ঈদুল আজহা আসলেই খাটিয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। সব গাছ দিয়ে খাটিয়া তৈরি করা যায়না। এই খাটিয়া তৈরি করতে প্রয়োজন তেঁতুল ও নিমের মতো শক্ত গাছের। এসব গাছে দা ও ছুরির আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা বেশি। আর অন্যন্যা গাছের তৈরি খাটিয়া বেশি দিন টিকেনা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় এবং মাংস কাটাঁও ভালো হয় না। উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট, নানুপুর, আজাদী বাজার, মোহাম্মদ তৌকিরহাট, নারায়নহাট, কাজীরহাট, হেয়াকো বাজারে নিম এবং তেঁতুল গাছের গুড়ি বা খাটিয়া বিক্রি করা হচ্ছে।
 

রাজু

×