ছবি: সংগৃহীত।
আজকাল বহু মানুষই হঠাৎ হঠাৎ জয়েন্টে ব্যথা, পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে যাওয়া কিংবা হাঁটতে গিয়ে অস্বস্তির মতো সমস্যায় ভুগছেন। এসব সমস্যার পেছনে অন্যতম কারণ হতে পারে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। ইউরিক অ্যাসিড শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই উৎপন্ন হয়, তবে যখন এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা নানা স্বাস্থ্য সমস্যার জন্ম দেয়।
চলুন জেনে নিই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ৫টি প্রধান লক্ষণ এবং ঘরোয়া ৩টি সহজ উপায়ে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার ৫টি সাধারণ লক্ষণ
১. হঠাৎ জয়েন্টে তীব্র ব্যথা:
বিশেষ করে পায়ের বুড়ো আঙুল, গোড়ালি, হাঁটু বা কব্জিতে হঠাৎ ব্যথা শুরু হলে তা ইউরিক অ্যাসিডের ইঙ্গিত হতে পারে।
২. ফুলে যাওয়া ও লালচে ভাব:
আক্রান্ত অংশে ত্বক লাল হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে— যা গাউটের (Gout) লক্ষণ।
৩. হাঁটাচলায় অস্বস্তি বা জড়তা:
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে গেলে জয়েন্টগুলো শক্ত লাগা বা জড়তা অনুভব হওয়া।
৪. মূত্রে জ্বালাপোড়া বা অস্বস্তি:
অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে, যার ফলে মূত্রত্যাগে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
৫. শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা:
রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন জমে, যা শক্তি কমিয়ে দেয়।
ইউরিক অ্যাসিড কমানোর ৩টি সহজ উপায়
১. পানি বেশি করে পান করুন
প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করলে ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে সহজে বেরিয়ে যায়।
২. লাল মাংস ও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার কম খান
গরু বা খাসির মাংস, অতিরিক্ত ডাল, কাবাব, লিভার ইত্যাদি খাবারে পুরিন (Purine) থাকে যা ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়। তাই এইসব খাবার কম খাওয়াই ভালো।
৩. ফল ও শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন
তরমুজ, শশা, আনারস, চেরি, অ্যাপেল— এসব ফল এবং পালং শাক বা করলায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে শুধুমাত্র জয়েন্টের ব্যথাই নয়, কিডনির সমস্যাসহ আরও অনেক জটিলতা থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। তাই উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং দৈনন্দিন জীবনে কিছু ছোট পরিবর্তন আনুন— সুস্থ থাকুন।
নুসরাত
