
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের অনেকের অভ্যাস—গতকালের রান্না করা খাবার গরম করে খেয়ে নেওয়া। কাজের চাপে নতুন করে রান্না করা না হলেও, একটু গরম করলেই তো খাওয়া যায়—এই ভাবনাই চলে। কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু সাধারণ খাবার আছে যেগুলো গরম করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, গঠন বদলে যায়, এমনকি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিচের এই চারটি খাবার বারবার গরম না করাই ভালো।
১. পালং শাক
পালং শাক মানেই পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি—আয়রন ও নাইট্রেটের দারুণ উৎস। কিন্তু রান্না হয়ে যাওয়া পালং আবার গরম করলে এর নাইট্রেট ক্ষতিকর যৌগে রূপান্তরিত হতে পারে। যা হজমে সমস্যা করতে পারে এবং অতিরিক্ত মাত্রায় শরীরের ক্ষতিও করতে পারে।
উপায়: পালং পনির থাকলে ঠান্ডা অবস্থাতেই খাওয়া ভালো, কিংবা গরম না করে অন্য কোনোভাবে ব্যবহার করুন।
২. ভাত
রাতের ভাত পরদিন গরম করে খাওয়া আমাদের ঘরে সাধারণ অভ্যাস। কিন্তু সমস্যা হলো, রান্না করা ভাত যদি ঠিকমতো সংরক্ষণ না করা হয়, তাহলে এতে ব্যাসিলাস সিরিয়াস নামের এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া গরম করলেও নষ্ট না হয়ে যেতে পারে পেট খারাপ বা ফুড পয়জনিংয়ের দিকে।
উপায়: ভাত রান্নার পরপরই ফ্রিজে রাখুন এবং গরম করার সময় ভালোভাবে গরম করুন, একবারই।
৩. আলু
আলু দিয়ে বানানো তরকারি বা আলুভাজা গরম করলে অনেক সময় তার স্বাদ ও গঠন নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু শুধু স্বাদ নয়, আলু যদি দীর্ঘ সময় ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দেওয়া হয়, তবে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে যা গরম করেও ঠিকভাবে ধ্বংস হয় না। এর ফলে হতে পারে গ্যাস্ট্রিক, অজীর্ণ বা পেট ফাঁপা।
উপায়: বেঁচে যাওয়া আলু দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ঠান্ডা আলুচাট বা স্যান্ডউইচ ফিলিং।
৪. ডিম
ডিম সেদ্ধ, ডিমভাজা বা ডিমের কারি—সব ক্ষেত্রেই গরম করে খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু ডিম আবার গরম করলে তার প্রোটিনের গঠন বদলে যায়, যা হজমে সমস্যা করতে পারে এবং পুষ্টিগুণও নষ্ট হয়।
উপায়: যতটা প্রয়োজন, ততটাই রান্না করুন। অতিরিক্ত ডিম রেখে দিলে তা ঠান্ডা অবস্থায় সালাদ বা র্যাপে ব্যবহার করুন।
স্মরণে রাখুন: কিছু খাবার গরম করলেই তা খারাপ হয় না, তবে উপযুক্ত সংরক্ষণ ও একবারের বেশি গরম না করাই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। পেটের স্বস্তি ও সুস্থ থাকার জন্য আজ থেকেই নিজের রান্নার অভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন।
মারিয়া