
ছবি: সংগৃহীত
সকালের নাশতা হোক কিংবা দুপুরের খাবার—বাঙালির পাতে ভাত না থাকলে যেন চলে না। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রয়োজনও বদলায়। ছোটরা যেটুকু খেলে ভালো, বড়রা সেটি খেলে হতে পারে ওজন বৃদ্ধি কিংবা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি। আবার খুব কম খেলে দেখা দিতে পারে দুর্বলতা। তাই বয়স অনুযায়ী ঠিক কতটা ভাত খাওয়া উচিত, তা জানা দরকার।
পুষ্টিবিদদের মতে, বয়স ও শারীরিক প্রয়োজন অনুযায়ী ভাতের পরিমাণ নির্ধারণ করা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক—
শিশুদের (২–১২ বছর)
এই বয়সে শিশুদের দেহের বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি হয়। তাই পর্যাপ্ত শক্তির প্রয়োজন হয় প্রতিদিন।
- দিনে ২–৩ বার ভাত খাওয়া যেতে পারে
- প্রতিবার আধা কাপ থেকে ১ কাপ পরিমাণ
- সঙ্গে থাকতে হবে ডাল, সবজি ও প্রোটিন (ডিম, মাছ, মাংস)
কিশোর–কিশোরী (১৩–১৯ বছর)
এই বয়সে হরমোন পরিবর্তন ও শারীরিক বৃদ্ধি দুটোই দ্রুত হয়।
- দিনে ২–৩ বার ভাত খাওয়া যেতে পারে
- প্রতিবার ১ কাপ থেকে দেড় কাপ পরিমাণ
- জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ জরুরি
প্রাপ্তবয়স্ক (২০–৫০ বছর)
এই বয়সে কাজের চাপ বেশি থাকে। এনর্জি দরকার, তবে ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
যাদের ওজন স্বাভাবিক
- দিনে ২ বার ভাত খাওয়া যেতে পারে
- প্রতিবার ১ কাপ থেকে দেড় কাপ
যাদের ওজন বেশি বা ডায়াবেটিস রয়েছে
- দিনে ১ কাপ ভাত যথেষ্ট
- সম্ভব হলে লাল চাল বা ব্রাউন রাইস খাওয়া ভালো
বয়স্ক (৫০ বছরের বেশি)
এই বয়সে হজম ক্ষমতা ও মেটাবলিজম কমে যায়, তাই হালকা খাবার খাওয়া উচিত।
- দিনে ১ বার ভাত খাওয়া ভালো
- আধা কাপ থেকে ১ কাপ পর্যাপ্ত
- সঙ্গে হালকা ডাল, সবজি ও প্রোটিন থাকা দরকার
অতিরিক্ত ভাত খাওয়ার ঝুঁকি
১. ওজন বেড়ে যেতে পারে,
২. রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ে,
৩. গ্যাস, অম্বল ও হজমের সমস্যা হতে পারে,
৪. অলসতা ও ঘুম ঘুম ভাব আসে।
ভাত আমাদের নিত্যদিনের খাবার হলেও, এর পরিমাণ বয়স, ওজন ও শারীরিক অবস্থার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা উচিত। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী পরিমাণে ভাত খেলে শরীর থাকবে সুস্থ, ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
রাকিব