ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হার্ট অ্যাটাকের আগে কোমরের সাইজ নিয়ে সাবধান হোন!

প্রকাশিত: ২০:৫১, ৪ জুন ২০২৫

হার্ট অ্যাটাকের আগে কোমরের সাইজ নিয়ে সাবধান হোন!

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা অনেকেই নিজের ওজন নিয়ে সচেতন থাকি। কেউ নিয়মিত হাঁটি, কেউ ডায়েট করি—সবই হার্ট ভালো রাখার জন্য। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, শুধু ওজন নয়, কোমরের মাপও হতে পারে হার্ট ফেইলিওরের সরাসরি পূর্বাভাস।

কী বলছে গবেষণা?

সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের এই গবেষণাটি তুলে ধরা হয়েছে ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজির বার্ষিক সম্মেলনে। সেখানে বলা হয়, শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কোথায় জমছে, তার ওপরই নির্ভর করছে হৃদরোগের আশঙ্কা।

যাদের ওজন সাধারণ মনে হলেও কোমরের মাপ যদি তাদের উচ্চতার অর্ধেকের বেশি হয়, তাহলে তাদের হার্ট ফেইলিওরের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

১৩ বছরের গবেষণায় চমকে দেওয়া ফলাফল

সুইডেনের মালমো প্রিভেন্টিভ প্রজেক্টে ১ হাজার ৭৯২ জন মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে, বডি মাস ইনডেক্স (BMI) সবসময় সঠিকভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি নির্ণয় করতে পারে না।

গবেষকেরা বলছেন, BMI বয়স, লিঙ্গ বা জাতিগত বৈচিত্র্য বিবেচনায় নেয় না এবং শরীরের কোথায় চর্বি জমেছে, সেটাও জানায় না। কিন্তু কোমর-উচ্চতার অনুপাত এসব সবকিছুই বিবেচনায় নিয়ে কার্যকরভাবে হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়।

‘পেটের মেদ’ মানেই হার্টের শত্রু!

গবেষক ডা. জন মলভিন স্পষ্ট করে বলেন, “আপনার কোমরের মাপ যদি উচ্চতার অর্ধেক ছাড়িয়ে যায়, তাহলে এখনই সতর্ক হোন। এটি হৃদরোগের ভয়াবহ ইঙ্গিত দেয়।”

আরও বলেন, “যারা স্বাভাবিক ওজনে আছেন বলে নিশ্চিন্ত হয়ে আছেন, তারা ভুল করছেন। কোমরের অতিরিক্ত মেদ হতে পারে আপনার নীরব ঘাতক।”

গবেষণার প্রধান উপস্থাপক ডা. জুজিচ বলেন, “BMI দিয়ে আমরা বহু বছর স্থূলতা মেপে আসছি। কিন্তু এখন সময় এসেছে কোমরের মাপকেও রুটিন পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করার।”

চিকিৎসকদের পরামর্শ

চিকিৎসকেরা বলছেন, প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শুধু রক্তচাপ বা ওজন নয়, কোমরের মাপও পরীক্ষা করা উচিত। কারণ যে ‘পেটের মেদ’ এত দিন অবহেলা করেছেন, সেটাই হয়তো হৃদরোগের সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×