ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ওজন কমাতে খালি পেটে হাঁটবেন, না ভরা পেটে? জানুন বিজ্ঞান কী বলছে!

প্রকাশিত: ২১:০৫, ৪ জুন ২০২৫

ওজন কমাতে খালি পেটে হাঁটবেন, না ভরা পেটে? জানুন বিজ্ঞান কী বলছে!

ওজন কমানো কিংবা শরীর-মন ভালো রাখতে হাঁটা যে দারুণ উপকারী, সে কথা নতুন নয়। হাঁটাহাঁটি সহজ, ব্যয়বহুল নয় এবং দীর্ঘস্থায়ী সুফল দেয়। তবে অনেকেই দ্বিধায় পড়েন খালি পেটে হাঁটব, নাকি খাওয়ার পরে? চিকিৎসক আর পুষ্টিবিদদের ব্যাখ্যায় এবার স্পষ্ট হচ্ছে দুটির উপকার আলাদা। সময় বেছে নিতে হবে লক্ষ্য বুঝে।

খালি পেটে হাঁটা: দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর

যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য খালি পেটে হাঁটা সবচেয়ে উপযোগী। এই পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’।

খালি পেটে হাঁটার সময় শরীরে তৎক্ষণাৎ শক্তি হিসেবে ব্যবহারের মতো গ্লুকোজ থাকে না। ফলে শরীর বাধ্য হয়ে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে, যা ওজন হ্রাসে সহায়তা করে।

সকালবেলা হাঁটার আরেকটি বাড়তি সুবিধা হলো—প্রাকৃতিক ভিটামিন ডি পাওয়া। সূর্যের প্রথম আলো থেকে এই ভিটামিন পাওয়া সহজ এবং এটি হজমশক্তি উন্নত করতেও সাহায্য করে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, খালি পেটে হাঁটার সময় শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কম থাকে। তখন লিভার গ্লাইকোজেন ভেঙে শক্তি তৈরি করে। ফলে দেহ ফ্যাট বার্নিং মোডে চলে যায়।

ভরা পেটে হাঁটা: হজমের সহায়ক, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়

খাওয়ার পর হালকা হাঁটারও রয়েছে আলাদা উপকারিতা। এই সময় শরীর সদ্য খাওয়া খাবার থেকেই শক্তি নেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুণ উপকারী।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর যদি কেউ হালকা হাঁটেন, তবে তা হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস, ব্লোটিংয়ের মতো সমস্যাও কমায়।

তবে মনে রাখতে হবে, ভরা পেটে হাঁটলে ক্যালরি ক্ষয় তুলনামূলক কম হয়।

আপনার লক্ষ্য বুঝে হাঁটার সময় নির্ধারণ করুনযারা দ্রুত ওজন ঝরাতে চান, তাদের জন্য খালি পেটে হাঁটা উপকারী।আর যাদের মূল সমস্যা হজম বা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ, তারা খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, “সবার শরীর আলাদা, প্রয়োজনও ভিন্ন। তাই নিজ শরীরের প্রয়োজন বুঝে হাঁটার সময় নির্ধারণ করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।”

ওজন কমাতে মরিয়া হয়ে কিছু না বুঝে হাঁটার সময় ঠিক করবেন না। আপনার শরীর ও লক্ষ্যের সঙ্গে মানানসই সময়েই হাঁটুন। তাহলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ফল।

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×