ছবি: সংগৃহীত
আমলকির রস স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী, তা অনেকেই জানেন না। এই আমলকির রস ১০০ শতাংশ প্রাকৃতিক এবং আয়ুর্বেদিক গুণে সমৃদ্ধ, যাতে কোনও রাসায়নিক উপাদান থাকে না। এটি সাধারণত জলে মিশিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করা হয়, যা গ্রীষ্মকালে শরীরকে সতেজতা এবং শীতকালে শক্তি প্রদান করে।
আমলা স্কোয়াশে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের মতো পুষ্টিগুণ, যা এটিকে একটি সুপরিচিত সুপারফুডে পরিণত করেছে। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রার মতে, আমলার এই উপাদানগুলো শরীরের জন্য বহুমুখী উপকার করে।
এটি শুধুমাত্র স্বাদেই অনন্য নয়, নিয়মিত সেবনে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ঠান্ডা, কাশি এবং মৌসুমি ফ্লুর মতো সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্ট্রিক ও বদহজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক।
আমলকি ত্বক ও চুলের জন্যও বিশেষ উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে ও বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। চুল পড়া রোধেও এটি কার্যকর।
এছাড়াও, আমলকি হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এর নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং ধমনিতে ব্লক হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
ভিটামিন এ ও ক্যারোটিন সমৃদ্ধ আমলকি দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সহায়ক। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান মস্তিষ্ককে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, ফলে স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে।
তবে বিশেষ সতর্কতা হিসেবে বলা দরকার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি সেবনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ আমলকিতে প্রাকৃতিক চিনি বিদ্যমান।
শহীদ
