ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আপনার বাগানেই যদি ফলে ৭টি সুপারফুড?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৫৯, ৩ জুন ২০২৫

আপনার বাগানেই যদি ফলে ৭টি সুপারফুড?

ছবি: সংগৃহীত

আপনার বাগানটি স্বাস্থ্যকর ভেষজের উৎসে পরিণত হলে কেমন লাগবে? নিজে হাতে বাগানও করবেন, আবার পরিবারের সকলের জন্য ভেষজ সরবরাহও সম্ভব হবে।

নিজের হাতে মাটি দিয়ে, সার দিয়ে চারা পুঁতে, তাকে বাড়তে দেখলে শান্তি হয়। নিজের শখের বাগান, ফুলগাছ ও পাতাবাহারের সাজে চোখের আরাম হয়। কিন্তু যদি শৌখিন বাগানটি স্বাস্থ্যকর ভেষজের উৎসে পরিণত হয়, তা হলে কেমন লাগবে? নিজে হাতে বাগানও করবেন, আবার পরিবারের সকলের জন্য ভেষজের জন্ম দেবেন, স্বাস্থ্যকর গাছগাছালির ডেরা হবে আপনার ঘর।

মোট ৭টি সুপারফুড তৈরি করতে পারেন বাগানে। সহজে, কম রক্ষণাবেক্ষণেই গড়ে উঠবে আপনার ঘরোয়া ভেষজের উৎস।

তুলসী: প্রাচীনকাল থেকে কাশি, সর্দি, উদ্বেগ, চর্মরোগ নিরাময়ের জন্য তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মহৌষধি গুণে সমৃদ্ধ এই গাছ আবার মশা তাড়ানোর জন্যেও কার্যকরী। তুলসীপাতা চায়ে মিশিয়ে খেলে নানা উপকার পাওয়া যায়। বাড়িতে ছোট টবে তুলসী গাছ লাগিয়ে যত্ন নেওয়া যেতে পারে। তবে তা আলো-হাওয়ার সংস্পর্শে রাখতে হবে।

কারিপাতা: কেবল খাবারের স্বাদবৃদ্ধি, বা গার্নিশিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় না কারিপাতা। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, আয়রন, এবং চুল ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় যৌগ। বাড়ির বাগানে সহজেই বেড়ে উঠতে পারে এই গাছ।

অ্যালোভেরা: ত্বকচর্চায় অ্যালোভেরার কোনও তুলনা হয় না। রোদে পোড়া, জ্বালা ধরা ত্বকে অ্যালোভেরা জেল প্রশান্তি এনে দেয়। এ ছাড়া বদহজমের সমস্যার সঙ্গেও মোকাবিলা করতে পারে। এই জেল প্রদাহনাশী উপাদান, এনজ়াইম এবং ভিটামিনে ভরপুর। সরাসরি পাতা থেকে বার করে নিয়ে গালে মেখে নেওয়া যায় অথবা জলে মিশিয়ে ওই জেল খেয়ে নেওয়া যায়।

জোয়ান: বদহজমের জ্বালা মেটাতে জোয়ানের জুড়ি নেই। কিন্তু জোয়ান গাছ আপনি বাড়ির জানলাতেও লাগাতে পারেন। গাছের পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিলেও আরাম মেলে। পাশাপাশি, কাশি, সর্দি, সাইনাসের যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে পারে।

লেমনগ্রাস: এই গাছ অপূর্ব সুগন্ধ ছড়িয়ে দিতে পারে আশপাশে। চায়ের জল ফোটানোর সময়ে পাতার টুকরো দিয়ে দিলে সুগন্ধি চায়ে চুমুক দিতে পারবেন। রান্নাঘরের জানলার বাইরেই ছোট টবে গাছটি রাখা যায়। অন্যান্য রান্নাতেও শেষের দিকে এই পাতা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে লেমনগ্রাসে। উৎকণ্ঠার রোগ সারাতেও কার্যকরী।

ব্রাহ্মী: পড়ুয়াদের জন্য ব্রাহ্মীশাক হল পথ্য। স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য খুব উপকারী এই গাছ। ঝুলন্ত টবে ব্রাহ্মী পুঁতে দিলে বাগানের সৌন্দর্যবৃদ্ধি হতে পারে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও উদ্বেগের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।

পুদিনা: অতিরিক্ত যত্ন-আত্তির প্রয়োজন পড়ে না। পুদিনা নিজের মতো বাগানের কোণে বেড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু চা, চাটনি, ফুচকা, এমন অনেক খাবারে পুদিনা যোগ করলে স্বাদ তো বৃদ্ধি পায় বটেই, তা ছাড়াও রয়েছে স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। পেটে ব্যথা, মুখের দুর্গন্ধের সঙ্গে লড়াই করতে পারে পুদিনা পাতার পুষ্টিগুণ।

একাধারে গৃহসজ্জা এবং স্বাস্থ্যের যত্ন, দুই কাজই হয়ে যাবে। এই ৭টি গাছের চারা কিনে আজ থেকেই ভেষজ বাগান তৈরির কাজ শুরু করে দিন।

শহীদ

×