
ছবিঃ সংগৃহীত
ঠান্ডা, কাশি, নাক বন্ধ – এগুলো যেন ঋতু বদলালেই লেগে থাকে। অনেকেই ভোগেন, কেউ হালকা, কেউ আবার দিনের পর দিন কষ্ট পান। এ রকম সময়ে যদি ঘরেই থাকে এমন কিছু যা প্রাকৃতিকভাবে একটু আরাম দিতে পারে, তবে কেমন হয়?
তুলসী গাছ, যার পাতা ছোট হলেও গুণ একেবারে অসাধারণ। এই পবিত্র উদ্ভিদটি শুধু পুজোর কাজে নয়, স্বাস্থ্য রক্ষার দিক থেকেও বেশ উপকারী – বিশেষ করে ফুসফুস আর শ্বাসযন্ত্রের জন্য। চলুন দেখি, কীভাবে খুব সহজে রোজকার খাবারে তুলসীকে জায়গা দিতে পারেন:
সকালে এক কাপ ‘তুলসী চা’ দিনটা ভালো করেই শুরু করবে
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম চা – এই অভ্যাস অনেকেরই। সেই চায়ে যদি দু-তিনটা তাজা তুলসী পাতা ফেলে দেন, তাহলে শরীর-মন দুটোই হালকা হয়ে যায়। গলার খুসখুসে ভাব বা নাক বন্ধ থাকলে বিশেষ উপকার মেলে। চাইলে দুধ ছাড়া চা বানিয়ে তাতে আদা আর এক চামচ মধুও মেশাতে পারেন – আরাম তো পাবেনই, স্বাদেও মিলবে নতুন এক ধরনের শান্তি।
কড়া বা স্যুপে কিছু তুলসী দিন – মায়ের মতো যত্নে
আমরা যখন সর্দি-কাশিতে ভুগি, মায়েরা বা দিদারা অনেক সময় এক কাপ হালকা কড়া বানিয়ে দেয়। সেই কড়ায় যদি কিছু তুলসী পাতা দিয়ে ফোটানো যায়, তাহলে তার গুণ আরও বেড়ে যায়। সন্ধ্যায় কষ্টের সময়ে এই গরম পানীয় যেন ঘরের ভেতর একটুখানি শান্তি এনে দেয়।
চাটনি, ডিপ – এসবেও তুলসী দিব্যি মানিয়ে যায়
ধনে পাতা, পুদিনা, কারি পাতা – এসব দিয়ে চাটনি বা ডিপ বানান? এবার থেকে সেখানে ৪–৫টা তুলসী পাতা মিশিয়ে দিন। খেয়াল করবেন, স্বাদে একটুখানি ভিন্নতা এসেছে, কিন্তু খারাপ লাগছে না বরং আরও টাটকা মনে হচ্ছে। দোসা, পরোটা, বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেতে যেমন ভালো লাগবে, তেমনই আপনার ফুসফুসও বলবে, “ধন্যবাদ!”
তুলসী এমন এক জিনিস, যেটা ওষুধের মতো লাগেও না, আবার অনেক উপকারও করে। ছোট ছোট উপায়ে রোজকার জীবনে যদি একে একটু একটু করে জায়গা দেওয়া যায়, তাহলে শরীরও আমাদের ধন্যবাদ জানাবে।
মারিয়া