
ছবি: সংগৃহীত
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি টিভির একটি টক শোতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, “নির্বাচন হয়ে গেলেও কিন্তু বিচারের ব্যাপারটা এগোয়নি।”
তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা ছিল সংস্কার— বিবাদমান পরিস্থিতি ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে জনতার ঐক্য গড়ে উঠেছিল, সেখান থেকেই অভ্যুত্থান হয়। এখন যদি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হয়, যেভাবে তারেক রহমান বলেছেন এবং প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেছেন, তাহলে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ কী হবে— এ প্রশ্ন সামনে আসছে।”
এ বিষয়ে নিজের দলের অবস্থান ব্যাখ্যা করে সাকি বলেন, “আমরা আগেই বলেছি— বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচনের দায়িত্ব বর্তমান সরকারের ওপরই বর্তায়। এর মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে, কী ধরনের টাইমলাইন দেওয়া যাবে— তা হয়তো পুরোপুরি বলা যাবে না। তবে মানুষ দৃশ্যমান বিচার দেখতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন এবং বিচার মুখোমুখি নয়। কেউ দাবি করছে না যে সব বিচার শেষ করে তারপর নির্বাচন হতে হবে। যারা এমন দাবি করেন, তারা বিচার ও সংস্কার— এই দুটো বিষয়কে ঠিকভাবে অনুধাবন করছেন না।”
সাকি দাবি করেন, “সরকার আমাদের আশ্বস্ত করেছে, খুব শিগগিরই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং এতে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। বিচার বিভাগও এ নিয়ে কাজ করছে। এমনকি প্রয়োজনে অতিরিক্ত ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারকে আরও দৃশ্যমান করার কথাও বলা হয়েছে।”
সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে তিনি বলেন, “সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত ঐকমত্য কমিশন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে একটি চূড়ান্ত ঐকমত্যে পৌঁছানোর সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এখন যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চলছে। আমরাও আমাদের পক্ষ থেকে আলোচনা শুরু করেছি এবং অন্যান্য দলের সঙ্গেও কথা বলব।”
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=TSrG7U-rmQ0
আবির