
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালের ১ জুন, বাংলাদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতে অভিযোগ করেন যে, শেখ হাসিনা ছিলেন এই অপরাধের মূল হোতা।
তিনি বলেন, "শেখ হাসিনাই ছিলেন অপরাধের নিউক্লিয়াস এবং অপরাধীদের প্রাণভোমরা ছিলেন শেখ হাসি।" এছাড়া, তিনি "গ্যাং অব ফোর" হিসেবে ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের নাম উল্লেখ করেন। তাজুল ইসলাম জানান, তাদের যৌথ নির্দেশনায় সারা দেশে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ২৭ জুলাই পঙ্গু হাসপাতালে গিয়ে শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের নির্দেশ দেন "নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ"—অর্থাৎ, আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া না দিতে। এই নির্দেশের ফলে অনেক আহত প্রতিবাদকারী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান।
আইসিটি চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে, যার মধ্যে সাক্ষীদের বক্তব্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া সফল হবে। এদিন, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের সর্বোচ্চ শাস্তি ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আবেদন করেন তাজুল ইসলাম। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ১৬ জুন।
শিহাব