ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায়

প্রকাশিত: ১১:৩৩, ৩১ মে ২০২৫

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে ঘরোয়া উপায়

প্রজাপতির মতো আকৃতির থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বিপাকক্রিয়া, হরমোন নিঃসরণ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই গ্রন্থির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ।  থাইরয়েডজনিত সমস্যা একবার হলে তা সম্পূর্ণ নিরাময় না-ও হতে পারে, তবে খাবারের মাধ্যমে তা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সেজন্য আপনাকে ওষুধ বা অভিনব সুপারফুডের উপর নির্ভর করতে হবে না। আমাদের রান্নাঘরে অসংখ্য খাবার রয়েছে যা থাইরয়েড স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী । 

ডিম- ডিমে রয়েছে সেলেনিয়াম, আয়োডিন ও প্রোটিন—যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন একটি সেদ্ধ ডিম খাওয়া যেতে পারে।

হলুদ- হলুদ শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর, যা থাইরয়েডের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। এতে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে। বিশেষজ্ঞরা সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে থাইরয়েড হরমোন T4-কে সক্রিয় T3 হরমোনে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।

জিরা- জিরা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী একটি মসলা। এটি শরীরে পুষ্টি শোষণ প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং হজমের সমস্যা দূর করে, যা থাইরয়েড হরমোনের সঠিক রূপান্তরের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন সকালে জিরা ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে শরীরের বিপাকক্রিয়াও উন্নত হয়।

আমলকী - ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকী থাইরয়েডের সুস্থতায় চমৎকার এক প্রাকৃতিক উপাদান। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ফলে হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। শুকনো আমলকী গুঁড়া করে খাওয়া কিংবা আমলকী দিয়ে তৈরি আচার খাওয়া যেতে পারে।

সজনে ডাটা - সজনে ডাটার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সজনে ডাটা আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং থাইরয়েড হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।

সানজানা

×