ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

মাদারীপুরে হাসপাতালের আইসিইউ চালু না হওয়ায় দুদকের অভিযান, মিলেছে দুর্নীতির প্রমাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ২০:১৩, ১ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:১৬, ১ জুন ২০২৫

মাদারীপুরে হাসপাতালের আইসিইউ চালু না হওয়ায় দুদকের অভিযান, মিলেছে দুর্নীতির প্রমাণ

মাদারীপুরে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা ১০ শয্যার আইসিইউ চালু না হওয়ায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে সিটিস্ক্যান মেশিন বন্ধ, হাসপাতালের রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও ভাউচার না দিয়ে লাখ লাখ টাকার বিল তোলার বিষয়টিও খতিয়ে দেখেন কর্মকর্তারা।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এই অভিযান চালায়। তারা বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন এবং সেবা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

দুদক জানায়, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাততলা বিশিষ্ট ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে গণপূর্ত অধিদফতর। এরপর ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালটির উদ্বোধন করা হয়। পরে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা হয়। রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য ২০২৩ সালের নভেম্বরে আইসিইউ’র উদ্বোধন করা হলেও শুরু থেকেই সেটি তালাবদ্ধ। ফলে মুমূর্ষু রোগীরা কোনো সেবা পাচ্ছেন না।

এছাড়া, সিটিস্ক্যান মেশিন থাকলেও সেটিও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। পাশাপাশি ভর্তি হওয়া রোগীদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে একজন ভুক্তভোগী দুদকের প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তদন্তে নামে দুদক মাদারীপুর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া, হাসপাতালের সাবেক প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক গোলাম কাওসার মিয়ার বিরুদ্ধে ভাউচার ছাড়া ২৬ লাখ টাকার তেলের বিল উত্তোলনের অভিযোগটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, “হাসপাতালের নানা অভিযোগ ও অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ের সত্যতাও পাওয়া গেছে। পাশাপাশি নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

সানজানা

×