আমাদের সকলেরই এমন রাত আছে যখন ঘুম আসে না, বিছানা যতই আরামদায়ক হোক বা শরীর যতই ক্লান্ত থাকুক না কেন। মানসিক চাপ, স্ক্রিন এবং গভীর রাতের চিন্তাভাবনা ভূমিকা পালন করে, তবে ঘুমানোর আগে আপনি যা খান তা আপনার ঘুমের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু খাবার, এমনকি যদি সেগুলি ক্ষতিকারক বলে মনে হয়, তবে ঘুমানোর সময় শরীরকে অস্থির, ভারী বা অস্থির বোধ করতে পারে। যদি শান্তিপূর্ণ, নিরবচ্ছিন্ন ঘুম আপনার পছন্দের জিনিস হয়, তাহলে সূর্যাস্তের পরে আপনার প্লেটে কী থাকে সে সম্পর্কে একটু সচেতন থাকা সত্যিই সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু খাবার শোবার সময় মেনু থেকে দূরে রাখা ভাল।
মশলাদার খাবার
আচার বা মশলাদার নাচোর মিশ্রণের অতিরিক্ত স্বাদ দারুন হতে পারে, কিন্তু শুয়ে পড়লে জ্বালাময় খাবার অ্যাসিডিটি বা বুকজ্বালা সৃষ্টি করতে পারে। মশলা শরীরের তাপমাত্রাও বাড়ায়, যা আরাম করা কঠিন করে তুলতে পারে এবং মসৃণভাবে বেরিয়ে যেতে পারে।
ভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার
গভীর রাতে এক প্লেট পাকোড়া বা অবশিষ্ট ভাজা লোভনীয় মনে হতে পারে, বিশেষ করে সেই স্বাদ এবং মুচমুচে স্বাদের সাথে, তবে ভাজা খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয় এবং পেট ভারী বোধ করতে পারে। এর অর্থ হল শরীর ঘুমের মোডে আরাম করার পরিবর্তে এগুলি ভেঙে ফেলার জন্য কাজ করে।
চকোলেট
এটি আরামদায়ক মনে হতে পারে, তবে চকোলেটে অল্প পরিমাণে ক্যাফেইন এবং চিনি থাকে যা মস্তিষ্ককে শান্ত করার সময় উদ্দীপিত করতে পারে। এতে থিওব্রোমিনও রয়েছে, যা সতর্কতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ঘুমের ধরণকে ব্যাহত করতে পারে।
কফি বা চা (এমনকি সবুজ চা)
অনেকেই মনে করেন এক কাপ চা বা সবুজ চা তাদের শান্ত করতে সাহায্য করে, কিন্তু ক্যাফেইন - উৎস যাই হোক না কেন, ঘন্টার পর ঘন্টা শরীরে থাকতে পারে। এমনকি ক্যাফেইনমুক্ত বিকল্পগুলিতেও এমন কিছু চিহ্ন থাকতে পারে যা প্রাকৃতিক ঘুম চক্রকে ব্যাহত করে।
উচ্চ চিনিযুক্ত মিষ্টি
কেক, লাড্ডু বা মিষ্টি বিস্কুট দেরিতে খাওয়া একটি ট্রিট বলে মনে হতে পারে, তবে চিনি রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি এবং হ্রাস ঘটায়, যা অস্থিরতা এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। রাতে মিষ্টির আকাঙ্ক্ষা ঘুমকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।
ভারী মসুর ডাল বা ডাল
ডাল স্বাস্থ্যকর হলেও, ঘুমানোর ঠিক আগে বেশি পরিমাণে এগুলি খেলে কখনও কখনও গ্যাস বা পেট ফাঁপা হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার হজম সংবেদনশীল হয়। সন্ধ্যার আগে এগুলো খাওয়া এবং দেরিতে রাতের খাবার হালকা রাখা ভালো।
সজিব
