
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় আলোচনায় সরকারকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছে এবি পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই তিনটি বার্তার মাধ্যমে এবি পার্টি সরকারের কর্মকৌশল, স্বচ্ছতা এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে এবি পার্টির পক্ষ থেকে আমরা তিনটা কথা বলেছি। প্রথম কথা হচ্ছে যে, গত ডিসেম্বরে যখন এই ঐকমত্য কমিশনের গঠনের প্রক্রিয়ার কথা বলা হয় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে, তখন এই কাজটা কিভাবে হবে তার একটা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করার প্রয়োজন ছিল।”
তিনি বলেন, “কারণ হচ্ছে যে ফ্রেমওয়ার্ক না থাকলে এই কমিশন আসলে কী এচিভ করতে চায়, কিভাবে এচিভ করবে এবং কোন ডেডলাইনের মধ্যে এচিভ করবে এই স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাটা থাকে না। আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি এবং যিনি ডেপুটি ভাইস চেয়ারম্যান, তাকেও রিকোয়েস্ট করেছি যে আপনারা ঐকমত্য কমিশন আসলে কী এচিভ করতে চান, সেটার একটা লিখিত ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা দরকার।”
দ্বিতীয় প্রস্তাবনার বিষয়ে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “মাননীয় আইন উপদেষ্টার দপ্তরে গত ১০ মাসে কী কী সংস্কার করা হয়েছে, সেটার তিনি একটা ফিরিস্তি দিয়েছেন। তখন আমরা বলেছি, এটাকে রেফারেন্স করে একইভাবে গত ১০ মাসে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটা আমলনামার খতিয়ান বাংলাদেশের জনগণের কাছে দেওয়া দরকার।”
তিনি বলেন, “এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পুরোটা মিলে যেমন দেয়া দরকার, তেমনি আইন উপদেষ্টার মত করে ডিপার্টমেন্ট ধরে ধরে প্রত্যেক উপদেষ্টার আমলনামার কাজের একটা খতিয়ান দেওয়া দরকার যে তারা আসলে কী কী এচিভ করেছে। তখন ওটা আমাদের জবাবদিহিতার জন্য, স্বচ্ছতার জন্য জরুরি হবে।”
তৃতীয় প্রস্তাবনার বিষয়ে ফুয়াদ বলেন, “নির্বাচনের ডেডলাইন নিয়ে যেই তর্ক-বিতর্ক, ভিন্ন মতটা আছে, এটা আসলে দূরত্বটা খুব বেশি না। এখানে যতটুকু সময়ের গ্যাপ আছে, তার থেকে হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্বটা একটু বেশি।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এ আলোচনায় এবি পার্টির এ ধরনের স্পষ্ট অবস্থান সরকারের জন্য একটি রাজনৈতিক বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আলোচনার ভিত্তিতে যে লিখিত কাঠামো, জবাবদিহি এবং সমঝোতার জায়গাগুলোতে তৎপরতা দেখা যাবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র:https://tinyurl.com/yhk9vdye
আফরোজা