
আজকাল স্মার্টফোন শুধু কল করার যন্ত্র নয়, এটি একটি ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দারুণ গেটওয়ে হয়ে উঠেছে। ব্যাংকিং তথ্য, নেটব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড, গুরুত্বপূর্ণ নথি, ছবি এবং ভিডিও—সব কিছুই এখন মোবাইল ডিভাইসে সেভ থাকে। তাই স্মার্টফোনের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ধরনের আপস করা উচিত নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—ফোনের সুরক্ষার জন্য কোন লক প্রযুক্তিটি সবচেয়ে ভালো? পিন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নাকি ফেস আনলক? চলুন, দেখে নেওয়া যাক।
ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর: সহজ কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ
মোবাইল ফোনের নিরাপত্তার জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর অনেকের প্রথম পছন্দ। এটি দ্রুত আনলক করার সুবিধা দেয়, তবে শক্তিশালী নিরাপত্তার জন্য এটি সবচেয়ে ভালো বিকল্প নয়। যদিও প্রতিটি আঙুলের ছাপ অনন্য, কিন্তু যদি আপনি ঘুমন্ত অবস্থায় থাকেন বা অচেতন অবস্থায় কাউকে আপনার আঙুলের ছাপ সেন্সরে রাখার সুযোগ দেন, তবে তারা খুব সহজেই আপনার ফোন আনলক করতে পারে।
ফেস আনলক: দ্রুত কিন্তু সহজেই প্ররোচিত হতে পারে
ফেস আনলক প্রযুক্তিও বেশ জনপ্রিয়। তবে এটি 2D ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে থাকলে খুব সহজেই প্রতারণা করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে কোনো ছবি বা ভিডিও দিয়েও ফোনটি আনলক করা সম্ভব। তবে 3D স্ক্যানিং প্রযুক্তি (যেমন আইফোনে ব্যবহৃত হয়) এই ঝুঁকিটি অনেকটাই কমিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
পিন কোড: সবচেয়ে সুরক্ষিত বিকল্প
পিন কোড ব্যবহারে আপনি ফোনের সুরক্ষা অনেকটা শক্তিশালী করতে পারেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলক ব্যবহারের তুলনায় পিন কোড অনেক বেশি নিরাপদ, কারণ এটি আপনার আঙুল বা মুখের মাধ্যমে চুরি করা যায় না। পিন কোডের মাধ্যমে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে, একটি জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এতে বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর, বিশেষ ক্যারেক্টর এবং সংখ্যা থাকা উচিত, যাতে কেউ সহজেই আপনার পিন ভাঙতে না পারে।
উপসংহার
ফোনের নিরাপত্তার জন্য পিন কোড এখনও সবচেয়ে সুরক্ষিত বিকল্প। যদিও ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ফেস আনলক প্রযুক্তি আধুনিক হলেও, সেগুলো কিছু পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই, আপনার ফোনের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ হলে, পিন কোড ব্যবহারে শক্তিশালী একটি পাসওয়ার্ড সেট করা উচিত।
রাজু