
ছবি: সংগৃহীত।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী একবার নয়, একাধিকবার তার ইসলামবিদ্বেষী এবং বাংলাদেশবিরোধী মন্তব্যের কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন। সম্প্রতি তার এক চরম উস্কানিমূলক বক্তব্য ঘিরে ভারতের রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা, যার প্রতিক্রিয়া এবার রাস্তায়ও দেখা গেল।
ঘটনার শুরু পাকিস্তান সীমান্তে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ওপর এক প্রাণঘাতী হামলা থেকে। হামলায় ২৬ জন হিন্দু তীর্থযাত্রী নিহত হন। এই ঘটনার পর শুভেন্দু এক জনসভায় বলেন, "২৬ হিন্দুর বদলায় ২৬০ মুসলমানের দেহ চাই"— যা শুধু রাজ্য নয়, সারা ভারতে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা একে বলেন, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির একটি কৌশলগত উত্তেজনা তৈরি, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতেও পড়েছে ছায়া।
ঘটনার কয়েক দিন পরই ভাইরাল হয় একটি ভিডিও, যেখানে দেখা যায় কলকাতার রাস্তায় বিক্ষোভের মাঝখানে পড়ে যান শুভেন্দু। গাড়ি চিনে ফেলেন বিক্ষুব্ধ জনতা। শুরু হয় চিৎকার, ধাওয়া, এবং একপর্যায়ে তার গাড়িতে হামলার চেষ্টা। শেষমেশ প্রিজন ভ্যানে করে তাকে সরিয়ে নেয় নিরাপত্তাকর্মীরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক সময়কার দাপুটে এই নেতা চুপচাপ দাঁড়িয়ে বা রাস্তার পাশে মাথা নিচু করে আছেন, যেন মানুষের রোষ থেকে বাঁচতেই আত্মগোপন করেছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে বারবার বাংলাদেশকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এক জনসভায় তিনি বলেন, “বাংলাদেশ থেকে লোক এসে ভারতের ভোটনীতি পাল্টে দিচ্ছে।” যদিও এর পক্ষে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মন্তব্য কেবল উগ্র রাজনীতির অংশ নয়, বরং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।
শুধু বিরোধীরা নয়, বিজেপির অভ্যন্তরেও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়ছে। অনেকেই বলছেন, শুভেন্দুর এধরনের কট্টর অবস্থান দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কেউ কেউ এটিকে বিজেপির কৌশলগত পিছু হটা হিসেবেও ব্যাখ্যা করছেন।
নুসরাত