
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজায় চলমান বর্বরতা বন্ধে ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি বিশ্বজুড়ে জোরালো হচ্ছে। এরই মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে—কে বা কারা এই আগ্রাসী রাষ্ট্রটিকে অস্ত্র সরবরাহ করছে? এক পরিসংখ্যান বলছে, তেলআবিবে আমদানিকৃত অস্ত্রের ৯৯ শতাংশই সরবরাহ করে তাদের দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র—যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এছাড়া, ইতালিও ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে।
সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশ ইসরায়েল নিজেরাই তৈরি করে অত্যাধুনিক অনেক অস্ত্র। তারপরও বাড়তি চাহিদা মেটাতে দেশটি বিপুল পরিমাণ অস্ত্র আমদানি করে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (SIPRI)-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে অস্ত্র আমদানিকারক দেশের তালিকায় ১৫তম অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল। তাদের মোট অস্ত্র আমদানির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করে জার্মানি। ইতালি থেকে আসে মাত্র এক শতাংশ।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পরও যুক্তরাষ্ট্র তেলআবিবে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠিয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলে ৯০,০০০ টনের বেশি সমরাস্ত্র পাঠিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু রপ্তানি নয়, ১৯৪৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ইসরায়েলকে ২২৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নৌসক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইসরায়েল কিছুটা হলেও নির্ভর করে জার্মানির ওপর। দেশটি থেকে তারা আমদানি করে ‘নাবাল ফ্রিগেটস’, ‘টরপেডো’, সাঁজোয়া যান, ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র এবং গোলাবারুদ। শুধু ২০২৪ সালেই জার্মানি থেকে ১৩১ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র পেয়েছে ইসরায়েল।
ইতালির আইন অনুযায়ী, কোনো সংঘাতে জড়িত দেশের কাছে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ। কিন্তু ইতালির একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম দাবি করেছে, গাজায় আগ্রাসনের পরও ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেনি দেশটি। ২০২৪ সালে ইতালি থেকে ইসরায়েলে প্রায় ৫.২ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র রপ্তানি হয়েছে।
তবে কিছু ইউরোপীয় দেশ ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। কেউ কেউ অস্ত্র সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করেছে, আবার কেউ কেউ রপ্তানির লাইসেন্স স্থগিত রেখেছে।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাজ্য থেকেও ইসরায়েলে গেছে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম।
ইমরান