
ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। নতুন করে শনাক্ত দুই ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের একাধিক রাজ্যে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও গুজরাটে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ মে পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬,৫০০ জনে। এর মধ্যে গেল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে কয়েকটি রাজ্যে।
নতুন দুই ধরনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গেছে কেরালায়। রাজ্যটিতে ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২,৫০০ জন। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত হয়েছেন ৪,৫০০ জনের বেশি। এছাড়া দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছুঁইছুঁই, গুজরাটে ৪৫০ এবং পশ্চিমবঙ্গে ২০০ জনের বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে শতাধিক মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও রাজস্থানেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
নতুন এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা ধরার প্রবণতা ও হালকা শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা সতর্কবার্তা দিয়ে বলছেন, উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
সংক্রমণ ঠেকাতে পুনরায় পুরোনো সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
-
মাস্ক পরা,
-
নিয়মিত হাত ধোয়া,
-
অপ্রয়োজনে ভিড় এড়িয়ে চলা,
-
এবং হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মানা—এই নিয়মগুলো অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
ভারতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গেছে সাড়ে চার কোটির বেশি।
করোনা সংক্রমণ আবারও বাড়ছে—এটি এখন বাস্তবতা। যদিও পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, তবে সময়মতো সতর্কতা না নিলে তা বড় রকমের বিপদের কারণ হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই এখন প্রধান প্রতিরক্ষা।
নুসরাত