গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াস মোল্লাকে তার তিন সহযোগীসহ আটক করা হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) ভোররাতে গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার বাঘেরবাজার ও মাস্টারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ইলিয়াস হোসেন মোল্লা — বানিয়ারচালা এলাকার হাজী মো. সায়েদ আলীর ছেলে, জাহিদ হাসান — ইলিয়াসের ছেলে, নাহিদ হাসান — ইলিয়াসের ছেলে ও রিফাত হোসেন অপু — ময়মনসিংহের পাগলা থানার বাগবাড়ি এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর গাজীপুর ক্যাম্পের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ বাহিনী ভোররাতে বাঘেরবাজার ও মাস্টারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ইলিয়াস মোল্লাকে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে অপর তিন সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়।
আটকদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বিশাল আকৃতির রামদা, ছুরি, চাপাতিসহ একাধিক দেশীয় অস্ত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, ইলিয়াস মোল্লার নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে বাঘেরবাজার ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, মারামারি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি তিনি স্থানীয় জায়ান্ট টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিক অসন্তোষে উসকানি দিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। এমনকি একাধিকবার সেনাবাহিনীর টহল টিমের সামনেই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে সন্ত্রাসের মহড়া দেন।
ইলিয়াস মোল্লার গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা জানান, তার বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে মুখ খুলতে পারছিল না কেউ। অবশেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদক্ষেপে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা সেনাবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল হালিম জানান, “ইলিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় চারটি মামলা রয়েছে। আটক চারজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
নুসরাত
