
ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার পশুর হাট গুলোতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন পশুর হাটে আসতে শুরু করেছে কোরবানির পশু। তবে এখনো জমে ওঠেনি ক্রয়-বিক্রয়। অনেকেই এখনো পশু দেখছেন। তবে হাট গুলোতে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর ভীর ছিলো চোখে পড়ার মতো।আজ (০১ জুন) রবিবার সকালে বেশ কয়েকটি
হাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় ক্রেতা নেই।
গাইবান্ধা থেকে আসা গরুর ব্যাপারী তুমিজ বলেন, প্রতি বছর এ হাটে আমরা গরু নিয়ে আছি। এবারও আমাদের ফার্মের গরু নিয়ে এসেছি। আমাদের গরুর সাইজ বড়। গতবার ১৬টি এনেছিলাম। বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। আশা করি, এবারও বিক্রি হবে। তবে এবার দাম কিছুটা বাড়তি। গরুর দাম ৬ লাখ চেয়েছি। সে অনুযায়ী ক্রেতারা দাম অনেক কম বলছেন। তারা যে দাম বলছেন, তা গত এক বছরের গরুর খাবারের দামের সমান।
দিনাজপুর থেকে আসা গরুর ব্যাপারী ইকবাল বলেন, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা হাটে আমি প্রতি বছর গরু নিয়ে আসি। আবার ২৬ টি গরু নিয়ে এসেছি। এখন ও একটি গরু ও বিক্রি করতে পারিনি। আসা করছি সোমবার নাগাদ বিক্রি কিনি শুরু হবে। কিছু বাড়তি লাভের আসায় আমরা গরু নিয়ে ঢাকায় আসি। তবে প্রতি বছর রাস্তায় যেভাবে চাঁদা দেওয়া লাগতো। এ বছর রাস্তায় কোথা ও চাঁদা দেওয়া লাগেনি। আর জিনজিরা হাঁটে থাকা খাওয়া, নিরাপত্তায় সহ সকল সুবিধা পাওয়া যায় ।
জিনজিরা হাটের ইজারাদার মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেন, কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। মাঠে নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলো সহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং শতাধিক সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে হাটে পশুতে ভরে গেছে। শনিবার ও রবিবার বেচাকেনা জমে উঠবে বলে আশা করছি।
আগানগর হাটের ইজারাদার আরশাদুর রহমান সপু বলেন, আমাদের হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা ট্রাক দিয়ে গরু নিয়ে আসছে। কোরবানির হাটের প্রস্তুতি শেষ বললেই চলে। মাঠে নিরাপত্তার জন্য পুরো মাঠে আলো সহ সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের শতাধিক সেচ্ছাসেবক মাঠে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে হাটে পশুতে ভরে গেছে। রবিবার ও সোমবার বেচাকেনা জমে উঠবে। আমাদের হাটে আশা গরুর পাইকারদের থাকা খাওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাব্বির