ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাবনার তিনশ বছরের ঐতিহ্য ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ

সোহেল রানা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাবনা সদর 

প্রকাশিত: ১১:১৭, ৩০ মে ২০২৫

পাবনার তিনশ বছরের ঐতিহ্য ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ার ইউনিয়নে আনুমানিক ১৭৫৫ সালে নির্মিত হয় ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ। জানা যায়, বাদশা শাহ আলমের শাসন আমলে স্থাপিত হয় মসজিদটি। পাবনায় হাজার হাজার মানুষ মানত করে মসজিদে। শিশুদের মুখে ভাত দেওয়ার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে এসে মসজিদের ইমাম সাহেবের নিকট থেকে মুখে ভাত দেয়। 

ভাঁড়ারা শাহী মসজিদের বর্তমান দেখাশোনা করছেন হাফেজ সরয়ার হোসেন (২৫)। তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, বাদশা দৌলত খানের পুত্র আসমত খান মসজিদটিতে ফারসি ভাষায় নির্মাণের সাল উল্লেখ করেন। অনেকের মতে ভাঁড়ারা শাহী মসজিদের বয়স সাড়ে ৩শ বছরের বেশি৷ 

ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত। তৎকালীন ফকির চাঁদ (রঃ) মসজিদের খেদমত করতেন বলে জানা যায়। তিনি আল্লাহর ওলি ছিলেন, ভাঁড়ারা মসজিদ পানির উপর ভাসতো, নৌকা নিয়ে সেখানে নামাজ পড়তেন ফকির চাঁদ (রঃ)। লোকে মুখে শোনা তিনি পদ্মা নদীকে তাড়িয়ে মসজিদ থেকে দূরে দিয়ে আসছেন।  তিনি যেখানে নদীকে দিয়ে আসছেন সেখানেই আছে নদীটি। 

ভাঁড়ারা শাহী মসজিদের দান বাক্স নিয়ে ১৯৯৫ সালে দুই গ্রুপের হানাহানি হলে খিয়াল সরদার ও তাজম মন্ডল ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে শুক্রবারে নিহিত হন। এখন বর্তমান মসজিদটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। 

প্রতি শুক্রবারে জুম্মার নামাজে হাজার হাজার মুসুল্লির আগমন হয় মসজিদে। ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ তিন গম্বুজ বিশিষ্ট। দর্শনীয় কারুকাজে মসজিদটি নির্মিত।
পাবনার ঐতিহাসিক মসজিদ বলা হয় ভাঁড়ারা শাহী মসজিদকে।

লোকে মুখে প্রচলিত আছে মসজিদটি একা একা হয়েছে। কিন্তু হাফেজ সরয়ার হোসেন বলেন, এটা সঠিক নয়, মসজিদটি অনেক পূর্বের বিধায় সঠিক ইতিহাস তেমন কেউ জানে না। 

তিনি আরো বলেন, আমরা এই মসজিদের খেদমত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। হাজার হাজার মানুষ এখানে মানত করতে আসে। অনেকের বিপদ থেকে উদ্ধার করে দেন আল্লাহ এই মানতের উসিলায়।

নোভা

×