জাতিসংঘের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভারত ২০২৩ সালে চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৮০ লাখ, যা চীনের ১৪২ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার চেয়ে সামান্য বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করলেও ভারতের জনসংখ্যা বাড়ার এই ধারা আগামী কয়েক দশক অব্যাহত থাকবে।
জনসংখ্যার এই পরিবর্তন বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ তরুণ, যা দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান করতে পারে। তবে একই সাথে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো উন্নয়নের চ্যালেঞ্জও বাড়বে।
বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশগুলোর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ৩৩ কোটি ৯০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এরপরই আছে ইন্দোনেশিয়া (২৭ কোটি ৭০ লাখ), পাকিস্তান (২৪ কোটি), নাইজেরিয়া (২২ কোটি ৩০ লাখ) এবং ব্রাজিল (২১ কোটি ৬০ লাখ)।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে উচ্চ জন্মহার, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনসংখ্যা বাড়লেও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা কমছে।
জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সাল নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৬৬ কোটিতে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩১ কোটিতে নেমে আসবে। এই পরিবর্তন আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমীকরণ বদলে দিতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
তথ্যসূত্র: jagranjosh
সাব্বির
