ছবি: সংগৃহীত।
পবিত্র হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে আরাফাতের দিন—যা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ পালিত হয়। এ দিনটি শুধু হাজীদের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ বছরের হজে সৌদি আরবের স্থানীয় সময় অনুযায়ী আরাফাতের দিন পড়েছে বৃহস্পতিবার, ৫ জুন। তবে অন্যান্য দেশের মুসলমানরা নিজ নিজ দেশের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ৯ জিলহজ নির্ধারণ করে আরাফার রোজা পালন করবেন।
অনেকে মনে করেন, আরাফার রোজা দুইদিন রাখতে হয়। এটি ভুল ধারণা। সহিহ হাদিস অনুযায়ী আরাফাতের দিনে একদিন রোজাই প্রমাণিত এবং তাতেই রয়েছে অপরিসীম ফজিলত। নবী মুহাম্মদ ﷺ বলেন:আরাফাতের দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে, তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। (মুসলিম: ১১৬২)
আরেক হাদিসে এসেছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী বর্ণনা করেন, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ৯ জিলহজ তারিখে রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২৪৩৭)
অতঃপর একদিন রোজা রাখা ও একদিন না রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, ‘তা আমার ভাই দাউদ (আ.)-এর রোজা।’ অতঃপর সোমবারের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিন আমি জন্ম নিয়েছি এবং এই দিন আমি নুবুওয়াত লাভ করেছি বা আমার ওপর (কোরআন) নাজিল হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতি মাসে তিনদিন এবং পুরো রমজান মাস রাখা পুরো বছর রোজা রাখার সমতুল্য।
’ অতঃপর আরাফার দিনের রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এতে আগের বছর ও পরের বছরের গুনাহ মাফ করা হয়।’ অতঃপর আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আগের বছরের গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
নুসরাত
