
ছবি: সংগৃহীত
কোরবানির বিধানে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। মহান আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কেয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য এক অনন্য শিক্ষা।
যাকাত এবং কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে যাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক।
আমরা ধার করে কোরবানি করলে সে কোরবানি বিশুদ্ধ হবে কিনা এবং আগে থেকে কেউ ঋণগ্রস্ত রয়েছেন সে ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কোরবানি করলে সে কোরবানি ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণযোগ্য হবে কিনা এ বিষয়ে। কেউ চাইলে ধার করে, ঋণ করে কোরবানি করতে পারেন যদি পরবর্তীতে এই ঋণ শোধ করার সৎ উদ্দেশ্য তার থাকে তাহলে তিনি ঋণ করে কোরবানি করতে পারেন।
রাসুলে কারিম (সঃ) নিজের জীবনেও তিনি লোন করেছেন, সাহাবায়ে ইকরামের অনেকে লোন করেছেন; অতএব লোন করে তিনি কোরবানি করতে পারেন।
যেকোনো ভালো কাজ এমন কি দান-সাদকাহ, হজ-উমরাহ করার জন্যও যদি কেউ ঋণ করেন এবং তার ঋণ পরিশোধ করার সৎ উদ্দেশ্য রয়েছে, ব্যবস্থা রয়েছে তাহলে তিনি ঋণ করে ভালো কাজ করতে পারেন কোরবানিটাও একই রকম।
তবে, ঋণ করে কোরবানি করা তার জন্য আবশ্যক নয়। সামর্থ্য না থাকলে ইসলামি শরিয়া তাকে ঋণ করে কোরবানি করতে বাধ্য করে না।
ফারুক