
ছবি:সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গণসম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে একটি নতুন আর্থিক ও তহবিল পরিচালনা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। বুধবার (৪ জুন) রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই নীতিমালা প্রকাশ করে দলটি।
নীতিমালায় জানানো হয়, এনসিপির আয়ের প্রধান উৎস হবে দলীয় টি-শার্ট, মগ, বই বিক্রি, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং অনলাইন কোর্স। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে দলের অর্থায়ন পরিচালনা করা হবে, যেন নির্ভরশীলতা কমে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ওপর।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণ জনগণ মাসিক সদস্য ফি নির্দিষ্ট রশিদ, মোবাইল পেমেন্ট বা ব্যাংকিং মাধ্যমে দিতে পারবেন। জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে “১০০ টাকা ক্যাম্পেইন” এবং “ছোট দান, বড় স্বপ্ন” শীর্ষক উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রবাসীদের জন্য থাকবে অনলাইন চাঁদা দেওয়ার সুবিধা, যাতে তারা সরাসরি দলের কার্যক্রমে অবদান রাখতে পারেন। কর্পোরেট অনুদানের ক্ষেত্রেও থাকছে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া, যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।
এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অনেকে। আল জাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন,
“স্নেহের হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম, তোমাদের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। আশা করি তরুণদের হাত ধরে এভাবেই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন আসবে।”
তিনি আরও লেখেন, রাজনৈতিক দলের অর্থায়নে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যুক্ত, তা জানা ও বুঝতে পারা জনগণের অধিকার। তিনি প্রত্যাশা করেন,
“কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা অলিগার্করা যেন বাংলাদেশ ও এদেশের নাগরিকদের ভাগ্য নিয়ে সডুকো খেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সব রাজনৈতিক দল তাদের ফান্ড প্রবাহ উন্মুক্ত করবে।”
আঁখি