ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পাবনা মোজাহিদ ক্লাব সড়কের বেহালদশা, চলাচলে ভোগান্তি 

সোহেল রানা, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, পাবনা সদর

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ৫ জুন ২০২৫

পাবনা মোজাহিদ ক্লাব সড়কের বেহালদশা, চলাচলে ভোগান্তি 

ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ

পাবনা মোজাহিদ ক্লাব থেকে শহরের প্রাণকেন্দ্র পাঁচমাথা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি যান চলাচলে অনুপযোগী।  হেলে দুলে চলছে অটো, ভ্যান ও রিকশা, যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। রাস্তাটিতে নানান খানা-খন্দে ভরা, বিভিন্ন স্থানে হয়ে গেছে গর্ত। সামন্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাস্তাটি। হেঁটে চলাচল করা গেলেও যানবাহন নিয়ে চলাচল দায়। 

পাবনা মোজাহিদ ক্লাব দিয়ে পাবনার শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে আসে এবং অটোরিকশা,অটোবাইক, পণ্যবাহী ভ্যান গাড়ি মালামাল  ও যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌছিয়ে দিতে কাজ করেন।

পাবনা মোজাহিদ ক্লাব দিয়ে পাবনা সদর উপজেলা (আংশিক),  আতাইকুলা থানা, সাঁথিয়া, বেড়া, কাশিনাথপুর, আমিনপুর থানার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে পাবনা শহরে প্রবেশ করে।  এই মোজাহিদ ক্লাবকে শহরে যাওয়ার প্রবেশদ্বারও বলা হয়। অটোচালক গুলো রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালাতে পারছেন না।  গাড়ি চালালেও যে টাকা কাজ করছে তার চেয়ে বেশি টাকা গাড়ি মেরামত করার জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে। 

এই রাস্তায় ঘটছে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা। অটোচালক মোঃ আবু তালেপ (৪৫) বলেন, আমরা প্রতিদিন শহরে যাত্রীনিয়ে যাওয়া আসা করি। রাস্তাটি এমন খারাপ হয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আমাদের ছোট গাড়িগুলো এই রকম রাস্তায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

রিকশাচালক তেজো (৪০) বলেন, আমাদের রিকশা নিয়ে চলাচল বেকায়দা হয়েছে। গাড়ির চাকা প্রতিনিয়ত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে টাকা রোজগার করি তা থেকে গাড়ি মেরামত করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। সন্তানদের লেখা পড়া, সামনে ঈদ সব কিছু মিলিয়ে আমাদের সংসারের খরচ চালানো অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

অটোচালক মো: নাসির হোসেন বলেন, এই প্রতিবেদককে বলেন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। সে আরো বলেন আমরা এমনিতে কষ্টের কাজ করি,রাস্তাগুলো যদি ভালো থাকতো তাহলে আমাদের কষ্ট একটু হলেও দূর হতো। 

পথচারীরা মোঃ রফিক (৬০) বলেন ,  আমরা সময় মতো অফিসে যেতে পারছিনা। রাস্তা নষ্ট হওয়ায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে । আমাদের অনেক কষ্ট করে নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হচ্ছে। আমরা অতিদ্রুত রাস্তা মেরামত করার জন্য পৌরসভা কর্তূপক্ষের নিকট আকুল আবেদন করছি।

শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূর থেকে মোঃ আসাদ আলী (৪৫) পাবনা শহরে তার কর্মে আসেন। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই সড়টি পানিতে ডুবে যায়। গাড়ি নিয়ে চলাচল খুবই মুশকিল এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হয়। 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে, পাবনা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ওবায়াদ উল হক,  মুঠোফোনে বলেন, মোজাহিদ ক্লাব থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত সড়কের কাজের প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে ঈদের পর কাজ শুরু হবে।

নোভা

×