
ছবি: সংগৃহীত
মাইগ্রেন একধরনের তীব্র ও অসহ্য মাথাব্যথা, যা ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে। যেসব মানুষ ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে প্রায় সবকিছুই চেষ্টা করে ফেলেছেন, তাদের জন্য এটি হতে পারে যন্ত্রণা থেকে মুক্তির একটি নতুন আশার আলো।
প্রাকৃতিক বা হারবাল চিকিৎসায় লেবুর ব্যবহার খুবই প্রচলিত। একসময় পেটের সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় ছিল এটি, তারপর মোশন সিকনেস কমাতে ব্যবহৃত হয়েছে এবং এখন এটি আলোচনায় এসেছে মাইগ্রেনের ব্যথা উপশমকারী হিসেবে।
তবে প্রশ্ন হলো আসলে এটি কাজ করে কি?
এ প্রসঙ্গে ডা. দীপক যাদব, নিউরোলজি পরামর্শক, আমৃতা হাসপাতাল, ফরিদাবাদ জানান, “লেবুর সরাসরি প্রভাব সম্পর্কে কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে অন্য কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি উপশম দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “কপালে বা ঘাড়ের পেছনে উষ্ণ পানি দিয়ে সেঁক দিলে মাংসপেশি শিথিল হয় এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এতে মাথাব্যথার তীব্রতা কমে এবং বমিভাব বা আলোতে সংবেদনশীলতা কিছুটা উপশম হতে পারে।”
আরও যোগ করেন, “উষ্ণ নেক র্যাপ বা হিটিং প্যাড ব্যবহারে ঘাড় ও কাঁধের মাংসপেশি শিথিল হয়, যা মাইগ্রেনের অন্যতম কারণ—অতিরিক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে।”
যদি উষ্ণ সেঁক দেওয়ার উপায় না থাকে, তাহলে একটি গরম পানি দিয়ে গোসল করাও উপকারী হতে পারে, বলে মত দেন তিনি। এতে মাংসপেশি আরাম পায় এবং মাথা ও ঘাড়ের চাপ কমে, যা মাইগ্রেনের সময় বেশ উপকারী হতে পারে।
মাইগ্রেন সাধারণত এতটাই যন্ত্রণাদায়ক হয় যে এটি দৈনন্দিন কাজেও বিঘ্ন ঘটায়। অনেক ক্ষেত্রেই এটি পুনরাবৃত্তিমূলক ব্যথা হয়ে থাকে, যার পেছনে উচ্চ শব্দ, দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকানো, প্রবল সুগন্ধ, তাপমাত্রা পরিবর্তন বা অতিরিক্ত আলো ইত্যাদি কারণ থাকতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ঔষধের পাশাপাশি ঘরোয়া প্রতিকারও অনেক সময় কাজে আসতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো কিছুই অতিরিক্ত নির্ভরযোগ্য নয়।
শহীদ