ছবিঃ সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ না মস্কো তার সামরিক আক্রমণ বন্ধ করে। সোমবার, তুরস্কের ইস্তানবুলে মার্কিন মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই কথা বলেন।
জেলেনস্কি ড্রোন হামলাটিকে একটি “কৌশলগত অভিযান” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে দুর্বল করেছে। এই হামলা, যা রাশিয়ার কৌশলগত বোমারু বিমান বহরকে লক্ষ্য করেছিল, আলোচনা শুরু হওয়ার ঠিক একদিন আগে সংঘটিত হয়।
জেলেনস্কি বলেন, “এ ধরনের হামলা প্রতিদিন হচ্ছে,”। তিনি আরও বলেন, “রাশিয়া যদি আক্রমণ বন্ধ না করে, আমরা হামলা চালিয়ে যাব।”
রাশিয়ার বর্তমান আক্রমণ এবং বিশেষ করে সাম্প্রতিক এক রাতব্যাপী ড্রোন হামলায় ৪৮০টিরও বেশি ড্রোন ব্যবহারকে উল্লেখ করে তিনি জানান, যুদ্ধ পরিস্থিতি কঠিন হলেও তারা রাশিয়ার রেগে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তিত নন।
জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আমরা চাই ট্রাম্প প্রশাসন শক্তিশালী পদক্ষেপ নিক, যাতে নিষেধাজ্ঞাগুলো কঠোর হয় এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করা যায়, অথবা অন্তত যুদ্ধ শেষের প্রথম ধাপ হিসেবে অস্ত্রবিরতি কার্যকর করা যায়।”
ইস্তানবুলে ওই আলোচনা ছিল ২০২২ সালের মে মাসের পর থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রথম সরাসরি বৈঠক। বৈঠকটি ইস্তানবুলের সিরাগান প্যালেসে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় চলে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রুস্তেম উমেরোভ জানান, দুই পক্ষ গম্ভীরভাবে আহত ও অসুস্থ বন্দিদের বিনিময় এবং নিহত সৈন্যদের দেহ হস্তান্তরের জন্য সম্মত হয়েছেন। এছাড়া জেলেনস্কি ও পুতিনের সম্ভাব্য মুখোমুখি বৈঠকের কথাও আলোচনায় এসেছে।
ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি চাচ্ছে ৩০ দিনের জন্য, যাতে শান্তি আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু রাশিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রেসিডেন্ট পুতিন আগের মতোই যুদ্ধের বিস্তৃত লক্ষ্য বজায় রেখেছেন।
সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া
নোভা
