
ছবিঃ সংগৃহীত
দৈনন্দিন হাঁটা শরীর সচল রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। যেকোনো সময় হাঁটলেই শরীর সক্রিয় থাকে এবং বসে থাকার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে ওজন কমানো বা হজমের উন্নতির মতো নির্দিষ্ট উপকার পাওয়ার জন্য হাঁটার সময় কি কোনো পার্থক্য আনে? এই প্রশ্ন অনেকেরই। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত উঠে এসেছে।
ড. সুরেন্দ্র পাল সিং, প্রধান, ফিজিওথেরাপি বিভাগ, সি কে বিরলা হাসপাতাল, দিল্লি, এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানান এবং জানান সকাল ও সন্ধ্যার হাঁটার ভিন্ন ভিন্ন উপকারিতা।
তিনি বলেন, "হাঁটা একটি সহজ কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর শারীরিক ক্রিয়া। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদ্যন্ত্রের সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। যদিও সকাল ও সন্ধ্যা—উভয় সময়েই হাঁটার নিজস্ব সুবিধা রয়েছে, তবুও কখন হাঁটবেন তা নির্ভর করে আপনার জীবনযাত্রা, সময়সূচি ও ব্যক্তিগত পছন্দের উপর।"
সকালের হাঁটা কাদের জন্য উপযুক্ত:
যাঁরা দিনটি সতেজভাবে শুরু করতে চান।
উপকারিতা:
সকালের সময় শরীরে শক্তি বেশি থাকে, তাই এই সময় হাঁটলে বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) সক্রিয় হয় এবং চর্বি পোড়ানোর হার বেড়ে যায়।
মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পায়, মনোযোগ বাড়ে এবং সারাদিনের জন্য ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়।
পরিবেশ শান্ত থাকে, বায়ু অপেক্ষাকৃত বিশুদ্ধ, ফলে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা সহজ হয়।
সূর্যালোক থেকে ভিটামিন D পাওয়া যায় এবং দেহের সার্কেডিয়ান রিদম (ঘুম-জাগরণ চক্র) নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
সন্ধ্যার হাঁটা কাদের জন্য উপযুক্ত:
যাঁরা সকালে ব্যস্ত থাকেন বা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে চান।
উপকারিতা:
রাতের খাবারের পর হাঁটা হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেট ফাঁপা কমায়।
সারাদিন খাওয়া ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং মেটাবলিজমের জন্য ভালো।
মানসিক চাপ কমায়, মন ভালো রাখে এবং ঘুমের মান বাড়াতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে কখন হাঁটবেন?
উভয়ই কার্যকর: ক্যালোরি বার্ন করার দিক থেকে, সকাল এবং সন্ধ্যা – উভয় সময়ের হাঁটাকেই কার্যকর বলা যায়, যদি হাঁটার সময় এবং তীব্রতা একই থাকে।
সকালের হাঁটার কিছু বাড়তি সুবিধা: খালি পেটে হাঁটার কারণে চর্বি পোড়ার হার কিছুটা বেশি হতে পারে।
সন্ধ্যার হাঁটার দিক থেকেও সুবিধা আছে: হজমে সহায়তা, রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ এবং মানসিক প্রশান্তি।
সূত্রঃ hindustantimes
নোভা