
ছবিঃ সংগৃহীত
প্রতিদিনের রূপচর্চার অংশ হিসেবে অনেকেই চুল ব্রাশ করেন, কিন্তু ভেজা অবস্থায় চুলে ব্রাশ করা বিপজ্জনক হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চুল প্রধানত কেরাটিন নামক একটি প্রোটিন দিয়ে তৈরি, যার একটি নির্দিষ্ট আণবিক বিন্যাস বা গঠন থাকে। ভেজা অবস্থায় চুলের এই প্রোটিন কাঠামো অনেকটা নরম ও প্রসারিত হয়ে যায়, ফলে তখন তা বাহ্যিক চাপের (যেমন ব্রাশ করা, টান লাগা ইত্যাদি) প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
এই অভ্যাসে চুল ভেঙে যাওয়া ও পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ২০২২ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টারের এক গবেষণায়ও দেখা গেছে, চুল ভেজা থাকলে তা বাহ্যিক চাপের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
"ভেজা চুলে ব্রাশ করলে তা চুলের আণবিক গঠন দুর্বল করে দিতে পারে," বলেন ড. মেহমেত এরদোয়ান, তুরস্কের স্মাইল হেয়ার ক্লিনিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ।
তিনি আরো বলেছেন, “ভেজা চুলে টান পড়লে তা সহজেই ভেঙে যায়, যা ধীরে ধীরে চুল পাতলা হওয়ার কারণ হতে পারে।”
চুলের ক্ষতি কমাতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শঃ
চুলে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও, একদম ব্রাশ না করাও সমাধান নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ডেলভেকচিও। তার মতে, "ভেজা চুলে ব্রাশ না করলে তা বাজে ভাবে জট পাকিয়ে যেতে পারে,"
তবে চুলে ব্রাশ করার সময় অবশ্যই নরমভাবে ও সঠিক পদ্ধতিতে করতে হবে। সেলুন ক্লায়েন্টদের জন্য চুলের যত্নে কোমল পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন ডি ম্যাটিও। তিনি বলেন, "চুলে গরমের প্রভাব কমানো, খসখসে ব্রাশিং এড়ানো এবং রাসায়নিক সার্ভিস সীমিত করাই চুল ভালো রাখার উপায়।"
ডি ম্যাটিও এ বিষয়ে আরও বলেন, "আমরা খুশকির যত্ন, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারার কথাও আলোচনা করি — কারণ এই সবই চুলের স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনার স্টাইলিস্ট বা সেলুনের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে কখনো দ্বিধা করবেন না। আমরা সাহায্য করতেই এখানে আছি।"
চুলের ক্ষতি কমাতে কার্যকর টিপসঃ
১. ভেজা চুলে ব্রাশ করার বদলে ওয়াইড-টুথ কম্ব (চওড়া দাঁতের চিরুনি) ব্যবহার করুন।
২. ডিট্যাংলিং ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন যা নমনীয় ও কোমল।
৩. চুলে হিট (হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেইটনার ইত্যাদি) কম ব্যবহার করুন।
৪. অতিরিক্ত রাসায়নিক সার্ভিস (কালার, পার্ম ইত্যাদি) এড়িয়ে চলুন।
৫. স্ক্যাল্পের যত্ন নিন এবং সুষম খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন।
সূত্র ঃ https://shorturl.at/cGzKg
পৃথী